আসানসোল, 23 জানুয়ারি: প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার করতে গিয়ে বনদফতরের জালে পাচারকারী ৷ সোমবার আসানসোলের দক্ষিণ থানার অন্তর্গত কুমারপুর এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে বনদফতরের কর্মীরা। ধৃতদের থেকে 2 কেজির বেশি প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়েছে ৷ যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। কোথা থেকে এই আঁশ সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা জানতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বহুমূল্য প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচারের খবর গোপন সূত্রে জানতে পেরেছিল আসানসোল রেঞ্জ অফিস ৷ সেইমতো মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তারা পাচারকারীদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর সোমবার রাতে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পাচারকারীদের কুমারপুরের সামনে হাতে নাতে ধরে বনদফতরের কর্মীরা । তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় দু‘কিলোর বেশি প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার করা হচ্ছে। হাতেনাতে ধরা হয় দুজনকে। ধৃতরা হলেন রামকুমার গিরি (34), অনিল কুমার চৌধুরী (24)। ধৃতরা আসানসোলের বাসিন্দা।
এই প্রঙ্গেই আসানসোল রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় পতি বলেন, "গোপন সূত্রে আমরা খবর পাই প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার হতে চলেছে। সেই মত আমরা আসানসোলের কুমারপুর এলাকায় মোবাইল ট্রাকিংয়ের সাহায্যে জায়গা চিহ্নিত করি ৷ হাতেনাতে দু'জনকে ধরি। উদ্ধার হয় প্যাঙ্গোলিনের আঁশ । ধৃতদের আসানসোল দক্ষিণ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।"
তবে আগে পুলিশকে খবর দিলে পাচারকারীরা সতর্ক হয়ে যেত ৷ তাই পুলিশকে না জানিয়েই এই অভিযান চালানো হয়েছে ৷ সাধারণত ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় এই প্যাঙ্গোলিনের আঁশ। বন্যপ্রাণ পাচার এখন অন্যতম অপরাধ ৷ অথচ পাচারকারীদের কাছে খুব চাহিদা থাকে প্যাঙ্গোলিনের মত বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণের । যারা আঁশ দূর্মূল্য। বনদফতরের আধিকারিকরা জানান প্যাঙ্গোলিনকে হত্যা করে আঁশ ছাড়ানো হয়। যা শুধুই সাধারণ অপরাধ নয়, বর্বরতাও।
আরও পড়ুন: