হাবড়া, 31 ডিসেম্বর: তিন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে ভুয়ো নথির সাহায্যে আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়া এবং আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম - মিন্টু দাস, অমিত মণ্ডল ও সায়েম হোসেন । তাঁরা উত্তর 24 পরগনার হাবড়া থানার মানিকতলা ও পৃথিবা এলাকার বাসিন্দা ।
পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তিন বাংলাদেশিকে । যাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা । ধৃত বাংলাদেশিদের নাম - মহম্মদ মতিউর রহমান এবং সন্ধ্যা রায় ও তাঁর মেয়ে সুপর্ণা রায় । তাঁরা বাংলাদেশের নাটোর ও বরিশালের বাসিন্দা ।
সোমবার বিকেলে স্থানীয় আনোয়ার বেরিয়া এলাকায় হানা দেয় হাবড়া থানার পুলিশ । সেখান থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ভারতীয় আধার কার্ড । জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ মিন্টু, অমিত ও সায়েমের সন্ধান পায় ৷
তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে তিন বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়া এবং আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার কাজ ওই তিনজনই করেছে ৷ তারা অবশ্য ভারতের নাগরিক ৷ এর পর ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে হাবড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন ৷
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে ধৃত তিন বাংলাদেশির কেউ এক বছর তো কেউ ছয় মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন । তাঁদের হাবড়ার মানিকতলায় আশ্রয় দেন অমিত এবং মিন্টু । পরবর্তীতে তাঁরা ভুয়ো নথির সাহায্যে ওই তিনজনের আধার কার্ডও তৈরি করে দেয় ৷
মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করে পুলিশ৷ আদালতের কাছে ধৃতদের 10 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয় পুলিশের তরফে ৷ তবে আদালত ধৃত ছ’জনকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনদিনে ধৃতদের থেকে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করা হবে ৷
পুলিশ জানতে চায়, কী উদ্দেশ্যে এই তিন বাংলাদেশী ভারতে এসেছিলেন ? কেনই বা তাঁদের আধার কার্ড বানিয়ে দিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন ধৃত তিন ভারতীয় ? এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না ! কোথা থেকে তৈরি হয়েছে এই আধার কার্ড ? সেখানে আর কতজনের আধার কার্ড এভাবে তৈরি হয়েছে ? পুলিশের অনুমান, পুরো বিষয়টির সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িয়ে থাকতে পারে !