কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বিশ্বজিৎ দাস গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য জানতে পারার পরই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের ব্যবসায়ীরাও যুক্ত থাকতে পারেন বলে মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৷
মঙ্গলবার বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি অভিযান হয়েছিল বড়বাজারে। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হয়েছে। নথিপত্র ঘেঁটে তাঁর নাম পেয়ে পরের দিন অর্থাৎ বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে বিশ্বজিৎ দাস ছিলেন বাংলাদেশে। আর তাতেই রেশন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগ দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷
রেশন দুর্নীতিতে বিশ্বজিৎ দাসের যে হাওয়ালা যোগ রয়েছে, সে কথা আদালতে আগেই জানিয়েছিল তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডির তদন্তকারীরা । কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, বিশ্বজিতের বাড়ি ও অফিস থেকে হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট পেয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি তদন্তকারীরা। এই খবর পেয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন বিশ্বজিৎ। পরে সেখান থেকে বাড়িতে আসেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর গ্রেফতার হন তিনি।
তদন্তকারীদের সন্দেহ যে বিশ্বজিতের যেহেতু মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসা রয়েছে ফলে, রেশন দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশেও গিয়েছে বলে সন্দেহ ইডি'র । তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে একাধিক ব্যবসার পাশাপাশি বিশ্বজিৎ হাওয়ালাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত । হাওয়ালা মাধ্যমে এই রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছেন তিনি । আর সে কারণেই বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে গিয়েছিল ।
আরও পড়ুন :