জলপাইগুড়ি, 31 অগস্ট: মন্দিরে শুয়ে থাকায় ক্যানসার আক্রান্তকে মারধরের অভিযোগ ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডে অবস্থিত ভারত সেবাশ্রম সংঘের মন্দিরে ৷ অভিযোগ, আশ্রমের ঘরে গুরুমার দিকে পা দিয়ে শুয়ে ছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত এক যুবক ৷ আর সেই কারণেই ভারত সেবাশ্রমের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ৷ যদিও, ক্যানসার আক্রান্তকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারত সেবাশ্রমের মহারাজ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতে ভারত সেবাশ্রমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য়রা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে ৷ জলপাইগুড়ি শিল্পসমিতি পাড়ার এক যুবক ক্যানসার আক্রান্ত ৷ তাঁর কেমোথেরাপি চলছে ৷ তিনি রোজ সকাল স্থানীয় মন্দিরগুলিতে যান মানসিক শান্তির জন্য ৷ তাঁর পরিবারের সকলেই ভারত সেবাশ্রম সংঘে দীক্ষিত ৷ তাই তিনি ভারত সেবাশ্রম সংঘের মন্দিরে গিয়েছিলেন ৷ ওই যুবক স্বীকার করেছেন, ভুলবশত তিনি মন্দিরের বিগ্রহের দিকে পা দিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন ৷ এরপরেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে মারধরে করে আশ্রম থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে শুক্রবার রাতেই ভারত সেবাশ্রম সংঘে বিক্ষোভ দেখায় আক্রান্তের পরিবার ৷
ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ প্রণবানন্দজী বলেন, "গুরুমার দিকে পা দিয়ে শুয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি ৷ আমাদের কর্মীরা একটি শ্রাদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ তখন তাঁরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁকে সরে যেতে বলেন ৷ কিন্তু, ওই ব্যক্তি তর্ক শুরু করেন ৷ তখনই বচসা হয় ৷ কাউকে মারধর করা হয়নি ৷ উনি গুরুমার দিকে পা দিয়ে শুয়েছিলেন বলে আমাদের আঘাত লেগেছে ৷’’ অন্যদিকে, ক্যানসার আক্রান্ত যুবকের দিদি সান্ধ্যাশ্রী দত্ত বলেন, "আমার ভাইকে মেরেছে ৷ মহারাজ কী করে বলেন চামড়া তুলে দিতে ?একটা অসুস্থ ছেলের সঙ্গে এমনটা কীভাবে করতে পারল !"
আক্রান্ত যুবক অভিযোগ করেছেন, "আমি প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন মন্দিরে যাই ৷ ভারত সেবাশ্রমে এসে আমি শুয়ে পড়েছিলাম ৷ আমাকে আশ্রমের কর্মীরা মারধর করেছেন ৷ মহারাজ আমাকে ছালচামড়া তুলে দেবার কথা বলেন ৷ আমার পরিবারের সকলেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের দীক্ষিত ৷ আর কোনোদিন আসব না ৷ অনেক অভিযোগ আছে এই মহারাজের বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ বিশ্বপ্রেমানন্দজী বলেন, "এক যুবক মন্দিরের বিগ্রহের বিকে পা দিয়ে শুয়ে ছিলেন ৷ আমাদের কর্মীরা তাঁকে বারণ করাতে, তিনি তর্ক করেন ৷ মারধর করা হয়নি ৷ যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি তো একবার এসে কথা বলতে পারতেন ৷’’