কলকাতা, 24 মে: দলীয় সভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাবেশ থেকে জবাব দিলেন কার্তিক মহারাজ। মমতার দাবি, নির্বাচনে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে বাধা দিয়েছেন তিনি। সন্ন্যাসী সমাজের মিছিল থেকে শুক্রবার সেই অভিযোগ খারিজ করলেন মহারাজ। এমনিতেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে আইনি পথ আগেই অবলম্বন করেছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ৷ মমতার কাছে গিয়েছে আইনি চিঠি। এবার প্রতিবাদের ঝড় নামল রাস্তায় ৷ শুক্রবার বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের কয়েক হাজার সাধু রাজপথে পা মেলালেন ৷
কার্তিক মহারাজ বলেন, "তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি-মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ মিথ্যা ৷ যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে যা শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেব ৷ আজকের এই মিছিলে জাত-পাত ভুলে সকলে উপস্থিত হয়েছেন ৷" কয়েকদিন আগেই হিন্দু ধর্মের নাম উল্লেখ করে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলেন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবির। মিছিলের পর সমাবেশ থেকে সেই মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন মহারাজ।
স্বামী পরমাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, "আমরা সাধু-সন্তরা মিলে এই মিছিল করেছি ৷ এখানে কোনও বিশেষ দল-মতের কেউ নেই ৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী সভা থেকে আমাদের উপরে আক্রমণ করেছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধেই আমাদের এই সমাবেশ ও স্বাভিমান যাত্রা ৷"
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা করিয়েছেন কার্তিক মহারাজ, তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেননি: মমতা
এদিন, দুপুরে বাগবাজার মায়ের ঘাট থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজ। মমতার 'সাধু' মন্তব্যের বিরোধিতা করেই এই দিন রাস্তায় নামেন সাধু-সন্তরা। খালি পায়ে এই দিন সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। এই দিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কার্তিক মহারাজ নিজে।
নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে তৃণমূলরে এজেন্ট না বসতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ৷ এমনকী, মুর্শিদাবাদে হিংসা ছড়ানোর পিছনে কার্তিক মহারাজকেই দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই কথার পরিপ্রেক্ষীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে ৷ কলকাতাতেও তার আঁচ পড়ে এদিন ৷ শাঁখ বাজিয়ে এদিন শুরু হয় মিছিল ৷
আরও পড়ুন: কার্তিক মহারাজ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মমতার পাশে দাঁড়িয়ে দাবি অধীরের