কলকাতা, 19 মার্চ: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে ফের মৃত্যু সংবাদ। মঙ্গলবার সন্ধেয় দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 10। মৃত্যু হল বছর চল্লিশের মহম্মদ জামিলের। গার্ডেনরিচের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কেটে গিয়েছে দু-রাত দু'দিন। এখনও সেখানে চলছে উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত, এই ঘটনায় মোট আহতের সংখ্যা 12। তাঁদের মধ্যে 9 জন ভরতি রয়েছেন গার্ডেনরিচের স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি তিন জন ভরতি এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থাই স্থিতিশীল হলেও এখনও কপালে ভাঁজ তৈরি করছে একজনের আশঙ্কাজনক অবস্থা ।
বহুতল বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হয় মইনুল হক (23), সাহিলুদ্দিন গাজি (21), মুসরত জাহান (35)। তাঁদের মধ্যে মইনুলের এই দুর্ঘটনার কারণে পায়ে চোট লাগে। তাঁর পা-আটকে যায় ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের অনুমান ছিল তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হবে। যদিও পরবতীর্তে তাঁর পায়ের অস্ত্রোপচার হয়। ফলে পা বাদ দিতে হচ্ছে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ভরতি ভেন্টিলেশনে।
অপরদিকে, মুসরত জাহানের গতকাল শিঁরদাড়ায় অস্ত্রোপচার হয়। এমআরআই করা হয়েছে তাঁর। বর্তমানে মুসরত স্থিতিশীল। পাশাপাশি সাহিলুদ্দিনের অবস্থাও স্থিতিশীল । কিন্তু তাঁর কোমরের নীচের অংশ ভেঙে গিয়েছে। সেই চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা দেখেছেন। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত 10 জনের মধ্যে দু'জন এই ভেঙে পড়া বহুতলের কাজে কলকাতায় এসেছিলেন।
এঁরা হলেন শেখ নাসিমুদ্দিন (24) এবং আরেকজন শেখ আবদুল্লা (18)। মাত্র চার মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল আবদুল্লার। সোনার কাজ করতেন জব্বলপুরে। বাজার মন্দা যাওয়ায় হুগলির খানাকুলে নিজের বাড়ি চলে আসেন তিনি। পরবর্তীতে ভগ্নীপতি নিজামুদ্দিনের সঙ্গে কলকাতায় কাজে আসেন তিনি। তবে পেটের দায়ে কলকাতায় আসলেও আর বাড়ি ফেরা হল না আবদুল্লার।
আরও পড়ুন: