বাঁশবেড়িয়া, 3 মার্চ: কর্তৃপক্ষের অত্যাধিক কাজের চাপে শ্রমিক অসন্তোষ বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুটমিলে। এর প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকেই কাজ বন্ধ করলেন কয়েক হাজার শ্রমিক। গত সপ্তাহে শ্রমিকের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বৈঠক করেন। শ্রমিকদের দাবি, আগামী 15 মার্চ মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই জোর করে শ্রমিকদের অন্য বিভাগে কাজ করতে বলা এবং কাজের বোঝা চাপানো হয়। তা নিয়ে শনিবার নাইট শিফট থেকে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।
ফলে জুটমিলের পাটঘর, স্পিনিং, বিমা, ম্যাকরোল, ড্রয়িং বিভাগের মতো অধিকাংশ বিভাগে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও শ্রমিকদের অভিযোগ, মিল কর্তৃপক্ষ জোর করে এখনও জুটমিলের ফিনিশিং ডিপার্টমেন্ট চালু রেখেছে। স্থানীয় বিধায়ক ও তৃণমূলের ইউনিয়নের দাবি আলোচনা মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে। যদিও মিল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। শ্রমিকদের কাজের বোঝা চাপানোর জন্য এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
একটি শ্রমিক দিয়ে একাধিক মেশিন চালানোর জন্য চাপ দেওয়ার এই গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এরপরই বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুটমিলে প্রায় শ্রমিকের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাধছিল কিছুদিন ধরে। আজ মর্নিং শিফটে কাজে এসেও কাজ যোগ দেননি শ্রমিকরা। মিলে প্রায় 3 হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তার মধ্যে 30 শতাংশ শ্রমিকরা সেলাই-সহ কয়েকটি বিভাগে কাজ করছেন। জুটমিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, 79 জন শ্রমিককে অন্য বিভাগে সরানোর কথা বলা হয়েছিল।
বিধায়কের সঙ্গে মিটিং হয় গত 28 ফেব্রুয়ারি। সেদিন বিধায়ক জানিয়েছিলেন শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে। তার আগেই শ্রমিকদের একাংশ কাজ বন্ধ করে দেয়। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, "করোনার সময় গ্যাঞ্জেস জুটমিল দু'টি ইউনিট সমানভাবেই কাজ চলেছে। আগে থেকেই 263 জনকে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। আগামী 15 মার্চ শ্রমমন্ত্রীর ঘরে শ্রমিক মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিক পক্ষ সেই ধৈর্য্য দেখাতে পারেননি। ইতিমধ্যেই 135 জনকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বলছি কাজ বন্ধ করবেন না। চালু রেখে আন্দোলন করুন।"
আরও পড়ুন: