ETV Bharat / state

'আমাদের আইনি বাধা ছিল, ইডির ছিল না', শাহজাহানের গ্রেফতারির পর মন্তব্য পুলিশের - Sheikh Shahjahan

Shahjahan Arrest: আইনি বাধ্যবাধকতার জন‍্যই এতদিন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি, সাংবাদিকদের জানালেন পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্তা সুপ্রতিম সরকার ৷

ETV Bharat
সাংবাদিকদের সঙ্গে সুপ্রতিম সরকার
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 29, 2024, 9:28 AM IST

Updated : Feb 29, 2024, 11:07 AM IST

শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার

কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: আইনি বাধা ছিল ৷ তাই রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ কিন্তু ইডির শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা ছিল না ৷ তাহলে তারা কেন তাঁকে এতদিন গ্রেফতার করল না ? শাহজানকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন তুললেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ৷ তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশের পরই বুধবার রাতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁকে এখন বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে ৷ দুপুরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে ৷

এদিন ইডির স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার বলেন, "গত 5 জানুয়ারি ন্যাজাট থানা এলাকায় ইডির অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযানের সময় ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন ৷ সেই ঘটনায় ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর ন্যাজাট থানায় একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয় ৷ কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্য়েই মাননীয় উচ্চআদালতে সেই তদন্তের উপর একটি স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় ৷ সেই আর্জি মাননীয় উচ্চআদালত মঞ্জুর করেন ৷ তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ৷ সুতরাং ওই মামলায় তদন্ত করা এবং গ্রেফতারিতে আমাদের আইনি বাধা ছিল ৷"

সন্দেশখালি উত্তপ্ত হওয়া নিয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, "গত 7, 8, 9 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে কিছু বিচ্ছিন্ন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে ৷ শেখ শাহজাহান ইডি আক্রান্তের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৷ তারপর ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলায় অভিযোগ জমা পড়ে ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয় ৷ কিন্তু 8 ফেব্রুয়ারি থেকে যে মামলাগুলি দায়ের হয়, সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে শেখ শাহজাহানের নাম এসেছে ৷ সেগুলির প্রতিটি 2-3 বছর আগে ঘটা ঘটনার ভিত্তিতে ৷"

পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানান, 2-3 বছর আগের ঘটনার তদন্তে অনেকটা সময় লাগে ৷ কিন্তু 5 জানুয়ারি ইডির উপর হামলা চালানোর ঘটনায় তদন্ত করতেই পারত পুলিশ ৷ তবে তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছিল আদালত ৷ তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷

এখানে ইডির ভূমিকা প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার বলেন, "সংবাদমাধ্যমে, চ্যানেলে বলা হয়েছে, পুলিশ ইচ্ছাকৃত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না ৷ আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এটা ভুল, অপপ্রচার ৷ আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল ৷ দিনদুয়েক আগে মাননীয় উচ্চআদালতের তরফে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় যে, গ্রেফতারিতে কোনও বিধিনিষেধ নেই ৷ তারপর আমরা জোরকদমে তল্লাশি শুরু করি ৷ গতরাতে মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করি ৷" এরপর তিনি প্রশ্ন করেন, "আমাদের উপর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল ঠিকই, ইডির উপর ছিল না ৷ তারা কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হননি ? সেই প্রশ্নটাও প্রাসঙ্গিক ৷"

আরও পড়ুন:

  1. হাইকোর্টের নির্দেশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার শাহজাহান
  2. 50 দিনেরও বেশি সময়, সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহানের গ্রেফতারির টাইমলাইন

শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার

কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: আইনি বাধা ছিল ৷ তাই রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ কিন্তু ইডির শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা ছিল না ৷ তাহলে তারা কেন তাঁকে এতদিন গ্রেফতার করল না ? শাহজানকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন তুললেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ৷ তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশের পরই বুধবার রাতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁকে এখন বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে ৷ দুপুরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে ৷

এদিন ইডির স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার বলেন, "গত 5 জানুয়ারি ন্যাজাট থানা এলাকায় ইডির অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযানের সময় ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন ৷ সেই ঘটনায় ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর ন্যাজাট থানায় একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয় ৷ কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্য়েই মাননীয় উচ্চআদালতে সেই তদন্তের উপর একটি স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় ৷ সেই আর্জি মাননীয় উচ্চআদালত মঞ্জুর করেন ৷ তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ৷ সুতরাং ওই মামলায় তদন্ত করা এবং গ্রেফতারিতে আমাদের আইনি বাধা ছিল ৷"

সন্দেশখালি উত্তপ্ত হওয়া নিয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, "গত 7, 8, 9 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে কিছু বিচ্ছিন্ন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে ৷ শেখ শাহজাহান ইডি আক্রান্তের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৷ তারপর ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলায় অভিযোগ জমা পড়ে ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয় ৷ কিন্তু 8 ফেব্রুয়ারি থেকে যে মামলাগুলি দায়ের হয়, সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে শেখ শাহজাহানের নাম এসেছে ৷ সেগুলির প্রতিটি 2-3 বছর আগে ঘটা ঘটনার ভিত্তিতে ৷"

পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানান, 2-3 বছর আগের ঘটনার তদন্তে অনেকটা সময় লাগে ৷ কিন্তু 5 জানুয়ারি ইডির উপর হামলা চালানোর ঘটনায় তদন্ত করতেই পারত পুলিশ ৷ তবে তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছিল আদালত ৷ তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷

এখানে ইডির ভূমিকা প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার বলেন, "সংবাদমাধ্যমে, চ্যানেলে বলা হয়েছে, পুলিশ ইচ্ছাকৃত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না ৷ আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এটা ভুল, অপপ্রচার ৷ আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল ৷ দিনদুয়েক আগে মাননীয় উচ্চআদালতের তরফে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় যে, গ্রেফতারিতে কোনও বিধিনিষেধ নেই ৷ তারপর আমরা জোরকদমে তল্লাশি শুরু করি ৷ গতরাতে মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করি ৷" এরপর তিনি প্রশ্ন করেন, "আমাদের উপর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল ঠিকই, ইডির উপর ছিল না ৷ তারা কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হননি ? সেই প্রশ্নটাও প্রাসঙ্গিক ৷"

আরও পড়ুন:

  1. হাইকোর্টের নির্দেশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার শাহজাহান
  2. 50 দিনেরও বেশি সময়, সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহানের গ্রেফতারির টাইমলাইন
Last Updated : Feb 29, 2024, 11:07 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.