কলকাতা, 10 অক্টোবর: আবারও চোখে জল জুনিয়র চিকিৎসকদের। প্রায় তিন ঘণ্টা মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না কোনও সদুত্তর। বরং, মুখ্য সচিবের কথায় উঠে এসেছে পুজোর প্রসঙ্গ। এমনই অভিযোগ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
তিন ঘণ্টা বৈঠক করে আসার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনের থেকে বেরিয়ে জানান, পুজো কাটলে বৈঠক হবে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। এমন কথাই মুখ্য সচিব বলেছেন বুধবারের বৈঠকে। এর পরে আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বুধবার সন্ধ্যা 6টা 35 মিনিট নাগাদ মুখ্য সচিবের থেকে মেইল আসে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের 29 জন প্রতিনিধি। প্রায় 3 ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের। তবে বৈঠক শেষে ক্ষোভে-দুঃখে চোখে জল দেখা যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের। বৈঠক শেষে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "ওনাদের সদিচ্ছার অভাব স্পষ্ট বোঝা গেল। আগের দিন মুখ্য সচিব সাংবাদিকদের সামনে যে কথা বলেছেন, আজ একই কথা বললেন আমাদের সামনে। আমাদের দাবিগুলি সময় সাপেক্ষ আমরা জানি। কিন্তু, আমরা টাইমলাইন চেয়েছিলাম। যেখানে মুখ্য সচিব বলেছেন, পুজো কেটে যাক, তারপর এই নিয়ে আলোচনা করা হবে।"
মুখ্য সচিব তাদের অনুরোধ করেছেন, অনশনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য। এই অনুরোধে রীতিমতো হতাশ জুনিয়র চিকিৎসকেরা! এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "যে কমিটি গঠন করে দেয়া হচ্ছে সেখান থেকে আবার বিরুপাক্ষ বা অভিকের মতো মানুষ বেরিয়ে আসবে না তো ? এটা আমাদের প্রশ্ন রাজ্য সরকারের কাছে। যেই কারণেই আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাইছি। ভেবেছিলাম 10 দফা দাবির মধ্যে কিছু দাবি পূরণ হবে। ভাবতে পারিনি একটা দাবিও তারা শুনবেন না ঠিক করে। কিন্তু, বারবার আমাদের বলে দেওয়া হল, এর আগে আমরা যে দুবার মেইল করেছি, তা নাকি রাজ্য সরকার দেখতে পাননি।"