কলকাতা, 22 অগস্ট: ধর্ষণ বন্ধে কড়া আইন প্রণয়নের দাবি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে 50 দিনের মধ্য়ে ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়ারও দাবি করেছেন 'তৃণমূল সেনাপতি'। আরজি করের ঘটনার পরেই তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। 14 অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর নিয়েও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন অভিষেক। সেই সময়ও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলে ৷ তবে সেটাই শেষবার। এরপর দীর্ঘ নীরবতা। দলের তরফ থেকে কেউ কেউ এই অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। অবশেষে ফের নীরবতা ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন অভিষেক।
Over the past 10 days, while the nation has been protesting against the #RGKarMedicalcollege incident and demanding justice, 900 RAPES have occurred across different parts of India - DURING THE VERY TIME WHEN PEOPLE WERE ON THE STREETS PROTESTING AGAINST THIS HORRIBLE CRIME.…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) August 22, 2024
বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "গত 10 দিনে আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সুবিচারের দাবি করছে, ঠিক তখনওএকের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে 900 জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে ৷ প্রতিদিন গড়ে 90টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট দায়ের হয়েছে ৷ অর্থাৎ প্রত্যেক ঘন্টায় চারটি এবং প্রত্যেক 15 মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এতকিছু সত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখনও পর্যন্ত বার করা যায়নি।"
তিনি আরও লিখেছেন, "পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে দেশে। এমন একটা আইনের প্রয়োজন যা অপরাধের 50 দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করবে। সঙ্গে নিশ্চিত করবে তার দ্রুত কঠোর শাস্তির। কোনও সরবাত্তাহীন প্রতিশ্রুতি দেবে না ৷ সমস্ত রাজ্যগুলির উচিত এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ তৈরি করা এবং কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা।"
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পর প্রথম অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা ‘এনকাউন্টার তত্ত্ব’ নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের মতো কড়া শাস্তির বিধান হওয়া উচিত।" এদিনের সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি এনকাউন্টার তত্ত্ব থেকে সরে এলেন অভিষেক ?