কোচবিহার ও শিলিগুড়ি, 16 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে এসইউসিআই-এর ডাকা ধর্মঘটে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার শহরে। বনধের প্রভাব পড়েছে উত্তরের অন্যান্য জেলাগুলিতেও ৷ শুক্রবার এসইউসিআই নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে গেলে হাসপাতাল গেটে আটকে দেওয়া হয়। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বনধ সমর্থরা। পরে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে খবর।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল। তবে সরকারি বাস চলেছে। হেলমেট পড়ে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাসের চালকরা। সকালের দিকে দোকান না খুললেও পরে অবশ্য দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে জেলার বিভিন্ন অংশে ৷ প্রায় একইরকম ছবি ধরা পড়েছে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতেও ৷ আরজি কর-কাণ্ডে এদিন 12 ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। এদিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়, হাশমি চক, সেভক মোড়, এয়ারভিউ মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করতে দেখা যায় এসইউসিআই কর্মী সমর্থকদের। পথচলতি মানুষদের কাছে ধর্মঘটে সাড়া দেওয়ার আবেদন করতেও দেখা যায় এসইউসিআই নেতা-কর্মীদের।
তবে এসইউসিআইয়ের ডাকা বনধের কারণে এদিন সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। এদিকে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব দেখা গেল না শহরে। অন্যান্য দিনের তূলণায় কম হলেও পর্যাপ্ত ছিল যানবাহন। রাস্তায় দেখা গিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস। সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা গড়াতে একে একে খুলতে শুরু করে সেসব। সকাল থেকে নামে সরকারি বেসরকারি স্কুলের বাসও। এসইউসিআইয়ের দার্জিলিং জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য শহরিয়ার আলম বলেন, "আরজি করে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আজ 12 ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছি। যেভাবে আরজি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে তার তীব্র বিরোধিতাও করছি আমরা। এদিনের এই বনধ যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশাকরি মানুষ সারাদিন এইভাবে আমাদের সমর্থন করবে।"
অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে এসইউসিআই-এর ডাকা বনধকে উপেক্ষা করেই জলপাইগুড়ি শহরে সরকারি বাস চলতে দেখা গিয়েছে। রাস্তায় পুলিশি টহলও ছিল চোখে পড়ার মত। সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চলতে শুরু করে। রাস্তায় অবশ্য কোনও বনধ সমর্থকদের দেখা যায়নি। জলপাইগুড়ি ডিপোর সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে বেসরকারি বাস তেমন চলতে দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য দিনের মত মতো এদিনও শহরে ই-রিক্সা চলছে। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর বুধবার রাতে ফের আরজি করে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকালে বনধের ডাক দেয় এসইউসিআই।