ব্যারাকপুর, 13 জুলাই: ডার্বির একশো বছর। কোনও সন্দেহ নেই আবেগের দিক থেকে কলকাতার বড় ম্যাচের এই সেঞ্চুরি ভিন্ন মাত্রা বহন করে। বাঙাল-ঘটির লড়াই। আবেগের সুনামী। সবকিছু মিলিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক অভিনব অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড়াল। কিন্তু ঐতিহাসিক বড় ম্য়াচে 67 হাজারের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে উপস্থিত থাকলেন দর্শক। এই শূন্য গ্যালারির ছবি সবচেয়ে খারাপ বিজ্ঞাপন।
দুই প্রধানের সমর্থকরা সোশাল মিডিয়ায় প্রিয় দলকে নিয়ে ছড়া কাটেন। সামান্য টোকায় ওনাদের রক্ত ঝরে। অথচ শনিবারের দুপুরে তাঁদের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দেখা গেল না। মেরে কেটে হাজার পাঁচেক দর্শক। ডার্বির প্রেক্ষাপটে যা অবিশ্বাস্য। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হলেন। আমন্ত্রিত ভিআইপিরা উপস্থিত হলেন কিন্তু গ্যালারিতে থাকা দর্শক বা সমর্থককুল কোথায়? অথচ আয়োজনের ত্রুটি নেই। অনলাইনে টিকিট কেটে তা পাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল সহজ। এতকিছুর পরে সমর্থকরা এলেন না।
ম্যানেজার্স মিটিংয়ে না-আসার মধ্যেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বার্তা দিয়েছিল বলে ময়দান সরব। তার প্রভাব বোধহয় পড়েছে তা অনুপস্থিতিতে পরিষ্কার। সবমিলিয়ে কলকাতা ডার্বির একশো নম্বর ম্যাচ সমর্থকদের মাঠ থেকে মুখ ফেরানো অসৌজন্যের ছবি মেলে ধরল। উল্লেখ্য, ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে নিয়ে বাংলার দু'প্রধানের মধ্যে দিনদু'য়েক ধরে দড়ি টানাটানি চলছেই ৷ দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে যাওয়া আনোয়ার সবুজ-মেরুনে আর লোনে খেলতে রাজি নন ৷ বাগান ম্যানেজমেন্টকে সে কথা জানিয়েও চুক্তি পাকাপাকি না-হওয়ার তা বাতিল করে তিনি ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। পাঁচ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি গিয়েছে এআইএফএফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে, সেখানেই নিষ্পত্তি হবে বিষয়টির ৷ যা নিয়ে চলছে তরজা ৷