কলকাতা, 27 মে: দু’বছর বাদে অভিমান ভুলে কি বাংলায় ফিরতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা ? তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে সিএবির তরফে কোনও সরকারি বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার অন্দরে কান পাতলে বিষয়টি শোনা যাচ্ছে ৷ সোমবার সস্ত্রীক ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৷ সঙ্গে ছিলেন সিএবির জুনিয়র ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস ৷ সেখান থেকেই এই জল্পনা শুরু হয়েছে ৷
আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার জার্সিতে ফের ঋদ্ধিমান সাহা খেলবেন কিনা, তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ ঋদ্ধিমান নিজেও এই ব্যাপারে কোনও বিবৃতি দেননি ৷ অভিমানের বরফ যে গলতে শুরু করেছে, তা সৌরভের সঙ্গে এই সাক্ষাতেই প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করছে ময়দানের একটা বড় অংশ ৷ অভিযোগ ওঠে, 2022 সালে সিএবি'র বর্তমান যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের করা মন্তব্যের জেরেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার হয়ে ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ৷
- আরও পড়ুন: দুই দিল্লি বয়ের হাত ধরেই স্বপ্নপূরণ নাইটদের
কর্তা বনাম ক্রিকেটারের বিতর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি ৷ মাঝের সময়ে অনেক জল গড়িয়েছে ৷ বাংলা দলের পারফরম্যান্সে চড়াই উতড়াই এসেছে ৷ মনোজ তিওয়ারি অবসর নিয়েছেন ৷ কোচের চেয়ারে অরুণলালের বদলে এসেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা ৷ সিএবির প্রশাসনিক রাজনীতির অংকেও বদল এসেছে ৷ একাধিক নতুন মুখের সারি এখন বাংলার সাজঘরে ৷ এই অবস্থায় আগামী মরশুমে বাংলাকে ঘরোয়া ক্রিকেট ভালো ফল করতে হলে, তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতায় আস্থা রাখতেই হবে ৷ বিষয়টি মাথায় রেখেই ঋদ্ধিমানের অভিমান ভাঙানোর কাজ অলক্ষ্যে শুরু হয়েছিল ৷ সেই কাজে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট কিছুটা সূত্রধরের কাজ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷
তাই সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা এবং কথা হওয়া আপাতভাবে সৌজন্য বলে মনে হলেও, আদতে তা ঋদ্ধিমানের বাংলা ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ত্রিপুরার হয়ে ঋদ্ধিমান নিয়মিত রান করেছেন ৷ ফলে অভিমান ভুলিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কাজটি যদি সত্যিই বাস্তবায়িত হয় তাহলে বাংলার ক্রিকেটের জন্য তা হবে ভালো খবর ৷ ঋদ্ধিমানের পাশাপাশি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে গিয়েছিলেন ৷ তিনিও ফিরে এসেছেন ৷ শুরু হতে চলা বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে সুদীপকে খেলতে দেখা যাবে ৷