ব্য়ারাকপুর, 8 সেপ্টেম্বর: পুলিশের জালে আটকে লিগের শেষ ম্যাচেও হার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। রবিবার বিকেলে ব্যারাকপুরে ফের 'নৌকাডুবি'। হতশ্রী ফুটবলের খেসারত দিয়ে টানা দ্বিতীয় হার সবুজ-মেরুনের ছোটদের। অবনমনের আওতায় থাকা দু'টো দল পরপর দু'ম্যাচে সবুজ-মেরুনকে হারিয়ে চমক দিল। আগেই সুপার সিক্সের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল বাগানের। সম্মানরক্ষার্থে শেষ ম্যাচে জয় জরুরি ছিল। কিন্তু রবিবার ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে 2-3 গোলে পরাজিত সবুজ-মেরুন।
প্রথম আধঘণ্টার মধ্যেই দু'গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। 23 মিনিটে আসিফ আহমেদের প্রথম গোলের পর 32 মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ফের পিছিয়ে পড়ে বাগান। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর নেওয়া শট ব্রিজেশ সিংয়ের মাথায় লেগে জালে জড়িয়ে যায়। পুলিশের তৃতীয় গোল 70 মিনিটে আলিস বক্সির।
প্রথম থেকেই এদিন ছন্নছাড়া ফুটবলের খেসারত দিল সবুজ মেরুন। আক্রমণ, মাঝমাঠ, রক্ষণের কোনও বোঝাপড়া না-থাকার ফল রবিবার দিল ডেইজি কার্ডোজোর ছেলেরা। কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্সের পরে পুলিশ এসি'র কাছে হার। শেষ পর্যন্ত 12 ম্যাচে 4টে হার, 4টে ড্র এবং 4টে জয় নিয়ে সবুজ মেরুনের ঝুলিতে 16 পয়েন্ট।
অন্যদিকে এই জয়ের ফলে মূল্যবান 3 পয়েন্ট পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবকে অবনমন বাঁচানোর লড়াইয়ে সুবিধা দেবে। বিরতির আগে দু'গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই হারের কালো মেঘ ঘনিয়েছিল সবুজ-মেরুন আকাশে। কিন্তু বিরতির পরে দু'গোল শোধ করলেও তা হার এড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে দোষ গোলরক্ষক অভিষেক বালোয়ারির। দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন পুলিশের আসিফ আহমেদ। কিন্তু বলটি সামনে ড্রপ পড়ায় অভিষেক তা বাঁচাতে পারেননি। পুলিশের তিন নম্বর গোলের ক্ষেত্রেও দায়ী সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক।
সুখচাঁদ কিস্কুর ফ্রিকিক অভিষেক চাপড় দিয়ে সামনে ফেললে তা হেলায় জালে পাঠান আশিস। এরপর সেরটো ব্যবধান কমান। ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে ফের গোল করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই সময় ভিয়ানের শট জালে জড়ানোয় মনে হয়েছিল মোহনবাগান হয়তো ড্র করে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু হাতে আর সময় ছিল না। শেষমেশ হারেই শেষ হল বাগানের কলকাতা অভিযান ৷