প্রয়াগরাজ, 26 ফেব্রুয়ারি: আজ মহাশিবরাত্রি ৷ এই পবিত্র দিনে মহাকুম্ভে স্নান করতে উপচে পড়েছে ভিড় ৷ একইসঙ্গে 45 দিনব্যাপী মহাকুম্ভ মেলার শেষ দিন বুধবার ৷ তাই এদিন ভোর থেকেই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিতে এসেছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত ৷ চূড়ান্ত 'শাহি স্নান' উপলক্ষে এদিন বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফেও ৷ স্নান করার সময় ভক্তদের উপর আকাশ থেকে ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করা হয় ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের শেষ দিন এবং মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "আজ ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে আসা সকল শ্রদ্ধেয় সাধু, সন্ন্যাসী এবং ভক্তদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ৷ তিন জগতের অধিপতি ভগবান শিব এবং পবিত্র মা গঙ্গা সকলের মঙ্গল করুক এটাই আমার প্রার্থনা। হর হর মহাদেব ৷"
महाकुम्भ-2025, प्रयागराज में भगवान भोलेनाथ की उपासना को समर्पित महाशिवरात्रि के पावन स्नान पर्व पर आज त्रिवेणी संगम में आस्था की डुबकी लगाने हेतु पधारे सभी पूज्य साधु-संतों, कल्पवासियों एवं श्रद्धालुओं का हार्दिक अभिनंदन!
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) February 25, 2025
त्रिभुवनपति भगवान शिव और पुण्य सलिला माँ गंगा सभी का…
শিবরাত্রিতে বিশাল জনসমাগম নিয়ে এসএসপি মহাকুম্ভ রাজেশ দ্বিবেদী বলেন, "কেউ আজকের দিনে স্নান করার সুযোগটি হাতছাড়া করতে চান না । প্রয়াগরাজবাসীও মহাকুম্ভের শেষ স্নানে যোগ দিচ্ছেন । বিপুল সংখ্যক মাত্রায় তাঁরা এখানে আসছেন ৷ মধ্যরাত থেকে তীর্থযাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে । আমাদের ব্যবস্থার কারণে এখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছে ৷ সবাই এই মহাশিবরাত্রিতে মহাকুম্ভে স্নানে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত কুম্ভমেলায় 65 কোটি মানুষ এসেছে ।"
12 বছর অন্তর একবার অনুষ্ঠিত হয় মহাকুম্ভ ৷ গত 13 জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমার দিন অমৃত স্নানের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের মহাকুম্ভ মেলা ৷ এরপর 14 জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, 29 জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, 3 ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী এবং 12 ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমাতে 'শাহি স্নান' করেছেন অগণিত পুণ্যার্থী। 26 ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে শেষ 'শাহি স্নানে' ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিড় করেছেন প্রচুর মানুষ।
45 দিন ধরে নাগা সাধু, সন্ন্যাসী ছাড়াও সাধারণ মানুষ মহাকুম্ভে স্নান করতে ভিড় জমিয়েছেন ৷ এই বিশাল ধর্মীয় সমাবেশে এখন পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক প্রায় 65 কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন । এদিন মহাকুম্ভের শেষ দিন হওয়ায় মধ্যরাত থেকেই বিপুল সংখ্যক ভক্ত সঙ্গমের তীরে জড়ো হন এবং ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান করার জন্য অপেক্ষা করেন ৷