ETV Bharat / politics

মীনাক্ষীকে প্রার্থী করছে না সিপিএম! জোট নিয়ে বিকাশকে দায়িত্ব বামেদের

Minakshi Mukherjee will not be a candidate: মীনাক্ষীকে প্রার্থী করছে না সিপিএম, এমনই দলীয় সূত্রে খবর ৷ কারণ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে একটা লোকসভা আসনে সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ মহম্মদ সেলিমরা। রাজ্যের 42টি আসনেই বাম ও সহযোগীদের হয়ে প্রচারের কাজে মীনাক্ষীকে চাইছে বামেরা।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 17, 2024, 11:12 AM IST

কলকাতা, 17 মার্চ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁকে প্রার্থী করেছিল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিপক্ষ হয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। যদিও মাত্র 6 হাজার 267টি ভোট পেয়েছিলেন। যা শতাংশের নিরিখে 2.74। তারপর উত্তরোত্তর তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৷ বিশেষ করে বাম যুব প্রজন্মের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। ঠিক একারণেই প্রার্থী হওয়াতে বাঁধ সাধল। সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে না দল। অন্যদিকে, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছে বামেরা ৷

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে একটা লোকসভা আসনে সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ মহম্মদ সেলিমরা। রাজ্যের 42টি আসনেই বাম ও সহযোগীদের হয়ে প্রচারের কাজে মীনাক্ষীকে চাইছে মুজাফফর আহমেদ ভবন। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের অবস্থান থেকে রুটি-রুজির অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন মীনাক্ষী। কিন্তু, রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই আবার সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। শুধু কি প্রচারের স্বার্থে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করা হচ্ছে না, নাকি আবারও ভোটে হেরে গেলে তাঁর জনপ্রিয়তায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বামেদের !

ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দলের স্বার্থে গোটা রাজ্যে প্রচারের কাজে লাগাবে সিপিএম তা কিন্তু এক প্রকার পরিষ্কার। গত 9 মার্চ থেকে 11 মার্চ রাজ্যে যে 11টি জনসভা করেছে বামেরা, তার বেশ কয়েকটিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর, কোচবিহার, বসিরহাটের মতো লোকসভা আসনগুলিতেও ইতিমধ্যেই সভা করেছেন তিনি ৷ সন্দেশখালি নির্যাতিত মহিলাদের কাছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তিনিই পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযান কিংবা সন্দেশখালি মানুষের কাছে একাধিকবার পৌঁছেছিলেন তিনি।

এমনকী, গত বছরের শেষ দিকে কোচবিহার থেকে টানা 51 দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পদযাত্রা শেষে জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন মীনাক্ষীর নেতৃত্বে যুবদের ডাকে জনগণের ব্রিগেডে ভিড় হয়েছিল নজর কাড়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছিল বামপন্থীদের মধ্যে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করার এই সিদ্ধান্ত যে বামপন্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে তা বলা অপেক্ষায় রাখে না। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার 16টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলিতে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বামফ্রন্ট। নিজেদের মধ্যে আসন রফা-সহ আইএসএফ ও কংগ্রেসকে নিয়ে আবারও আলোচনা করতে আজকে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বামশরিকদের।

আরও পড়ুন

হিংসা ঠেকাতে লোকসভা ভোটে রাজ্যে 250 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শায়েরি করে কড়া বার্তা রাজীব কুমারের, ইভিএম থেকে বিদ্বেষমূলক প্রচার ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

কলকাতা, 17 মার্চ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁকে প্রার্থী করেছিল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিপক্ষ হয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। যদিও মাত্র 6 হাজার 267টি ভোট পেয়েছিলেন। যা শতাংশের নিরিখে 2.74। তারপর উত্তরোত্তর তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৷ বিশেষ করে বাম যুব প্রজন্মের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। ঠিক একারণেই প্রার্থী হওয়াতে বাঁধ সাধল। সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে না দল। অন্যদিকে, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছে বামেরা ৷

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে একটা লোকসভা আসনে সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ মহম্মদ সেলিমরা। রাজ্যের 42টি আসনেই বাম ও সহযোগীদের হয়ে প্রচারের কাজে মীনাক্ষীকে চাইছে মুজাফফর আহমেদ ভবন। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের অবস্থান থেকে রুটি-রুজির অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন মীনাক্ষী। কিন্তু, রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই আবার সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। শুধু কি প্রচারের স্বার্থে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করা হচ্ছে না, নাকি আবারও ভোটে হেরে গেলে তাঁর জনপ্রিয়তায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বামেদের !

ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দলের স্বার্থে গোটা রাজ্যে প্রচারের কাজে লাগাবে সিপিএম তা কিন্তু এক প্রকার পরিষ্কার। গত 9 মার্চ থেকে 11 মার্চ রাজ্যে যে 11টি জনসভা করেছে বামেরা, তার বেশ কয়েকটিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর, কোচবিহার, বসিরহাটের মতো লোকসভা আসনগুলিতেও ইতিমধ্যেই সভা করেছেন তিনি ৷ সন্দেশখালি নির্যাতিত মহিলাদের কাছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তিনিই পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযান কিংবা সন্দেশখালি মানুষের কাছে একাধিকবার পৌঁছেছিলেন তিনি।

এমনকী, গত বছরের শেষ দিকে কোচবিহার থেকে টানা 51 দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পদযাত্রা শেষে জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন মীনাক্ষীর নেতৃত্বে যুবদের ডাকে জনগণের ব্রিগেডে ভিড় হয়েছিল নজর কাড়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছিল বামপন্থীদের মধ্যে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করার এই সিদ্ধান্ত যে বামপন্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে তা বলা অপেক্ষায় রাখে না। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার 16টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলিতে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বামফ্রন্ট। নিজেদের মধ্যে আসন রফা-সহ আইএসএফ ও কংগ্রেসকে নিয়ে আবারও আলোচনা করতে আজকে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বামশরিকদের।

আরও পড়ুন

হিংসা ঠেকাতে লোকসভা ভোটে রাজ্যে 250 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শায়েরি করে কড়া বার্তা রাজীব কুমারের, ইভিএম থেকে বিদ্বেষমূলক প্রচার ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.