মেদিনীপুর, 13 মার্চ: মেদিনীপুর শহরে একদিকে বিজেপির যুব আড্ডায় উপস্থিত বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, একই সময়ে একই স্থানে যুব তৃণমুলের বাইক মিছিলকে ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। উভয়পক্ষের 'চোর' স্লোগানে সরগরম মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক কলেজ স্কোয়ার এলাকা। যার পালটা দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, "দিলীপ ঘোষ এরকম চোরদের বুকে পা দিয়ে 18টা সাংসদ জিতেছে। কানের নীচে দুই থাপ্পড় দিলে, সাতদিন শুনতে পাবে না।"
ঘটনাক্রমে বলা যায় এখনও পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের নাম 2024-এর লোকসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখেই ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মেদিনীপুরে আসেন। বিকেলে ভাদুতলায় যুব আড্ডা করার পর মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে উপস্থিত হন একই কর্মসূচিতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে পঞ্চুরচকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বিজেপি যুব মোর্চার। বিকেলে ছ'টা নাগাদ সেই যুব আড্ডায় উপস্থিত হন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ে কলেজ ময়দান থেকে বাইক মিছিল বের হয় যুব তৃণমুলের। বাইক মিছিল পঞ্চুরচক কলেজ মোড়ে পৌঁছতেই অভিযোগ সেখান থেকে 'চোর চোর' স্লোগান উঠে। সেই সময় পালটা দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও একই স্লোগান দিতে থাকেন।
সময়ের সঙ্গে দু'পক্ষের স্লোগান জোরালো হয়ে ওঠে। এমনকী বাইক নিয়ে হর্ন বাজিয়ে মিছিল ফের ফিরে আসতেই মাইক হাতে 'চোর' স্লোগান দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকেও। এই ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, এর আগে শালবনীর ভাদুতলাতেও দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে একইভাবে 'চোর' স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘটনার কথা তুলে ধরে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "ভাদুতলায় আমাকে দেখে বেশ কিছু লোক ঘেউ-ঘেউ করতে শুরু করল। আমি তৃণমূল নেতাদের বলে দিচ্ছি, যদি ভাবেন এভাবে ভোট করাবেন; আমরা পোস্টার ব্যানার নিয়ে ভোট করব না ৷ অন্য কিছু নিয়ে ভোট করব।"
এখানেই শেষ নয়, দিলীপ এরপর আরও কড়া ভাষায় বলেন, "যারা কানে দুল পরে চেঁচামেচি করছে, তারা বাড়িতে যেন বলে আসে নামটা কেটে দিতে। দিলীপ ঘোষ এরকম চোরদের বুকে পা দিয়ে 18টা সাংসদ জিতেছে। দিলীপ ঘোষ সমাজ বিরোধী, গুন্ডা, পকেটমারদের ভয় পায় না। কানের নীচে দুই থাপ্পড় দিলে সাতদিন শুনতে পাবে না। কামাচ্ছো, করে খাচ্ছ খাও ৷ কেন চুলকোচ্ছ, আমরা চুলকালে ঘাস ফুটতে দেব না।" এরপর পুলিশ প্রশাসনকে নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "এখানকার যিনি পুলিশ সুপার রয়েছেন তিনি একজন নপুংসক।" প্রসঙ্গত, এদিন দুই দলের দু'টি কর্মসূচি ঘিরেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। যদিও ভাদুতলা বা শালবনী কোথাও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন: