কলকাতা: আজকাল প্রত্যেকেই তাদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরক্ত এবং ওজন কমানোর পরে । কিন্তু একই সময়ে, অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর সমস্যায় ভুগছেন । ওজন বাড়ানো কঠিন নয় এবং একটি ভালো খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে । আপনি দৈনন্দিন রুটিনে কিছু পরিবর্তন করে এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন । পুষ্টিবিদ সুচরিতা সেনগুপ্তের মতে, জেনে নিন কিছু খাবার যেগুলি নিয়মিত খেলে আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে ।
ফ্যাট যুক্ত দুধ: দুধ পুষ্টির ভাণ্ডার ৷ এটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টিতে ভরপুর । এতে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং ভিটামিন রয়েছে । এটি একটি দুর্দান্ত প্রোটিনের অংশ ৷ ওয়ার্ক আউটের আগে বা পরে দুধ পান করতে পারেন ৷
ভাত: ভাত হল কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস ৷ যা ওজন বৃদ্ধির কার্যকরী উপায় । ভাত একটি ক্যালোরিযুক্ত খাবার ভাত থেকে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি পেতে পারেন । এক কাপ ভাত প্রায় 200 ক্যালোরি পাওয়া যায় যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য় করে । আপনি বিভিন্ন তরকারি এবং সবজির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন যাতে প্রোটিন বেশি থাকে । এটি স্বাদ, ক্যালোরি এবং প্রোটিন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় ৷ তবে আপনার শারারিক চাহিদা অনুযায়ী কতটা পরিমাণ খাবেন তারজন্য বিশেষজ্ঞর মতামত প্রয়োজন ৷
ড্রাই ফ্রুট: ড্রাই ফ্রুট খাওয়া ওজন বাড়ানোর জন্য উপকারী হতে পারে । এই সুপার-ফুডে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ক্যালোরি এবং ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান । সব ধরনের ড্রাই ফ্রুটস-এ প্রাকৃতিকভাবে উচ্চমাত্রার চিনির পরিমাণ থাকে ৷ যা ওজন বৃদ্ধির জন্য ভীষণভাবে । আপনি এগুলি কাঁচা বা ভাজা খেতে পারেন । এটি দই এবং স্মুদিতেও যোগ করা যেতে পারে । প্রতিদিন এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট যেমন বাদাম, আখরোট এবং কাজুবাদাম ওজন বাড়াতে সবচেয়ে ভালো উপায় ।
রেড মিট: রেড মিট প্রোটিনের একটি ভালো উৎস ৷ যা আপনাকে পেশী তৈরি করতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে । এতে লিউসিন এবং ক্রিয়েটিনের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে ৷ যা পেশী বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ফলে ওজন বাড়াতে সাহায্য় করে ৷
চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ । এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় । এসব মাছে উপস্থিত ওমেগা-3 সবচেয়ে ভালো উৎস ৷ যা ওজন বাড়াতে প্রয়োজনীয় । আপনি স্যামন থেকে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করতে পারেন ৷ যেমন সেদ্ধ মাছ, ভাজা মাছ এবং স্মোকড স্যামন । এছাড়াও ওজন বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকের মতামত নিয়ে খেতে পারেন পিনাট বাটার, চিজ, ঘি ইচ্যাদি ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC9102257/
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)