নয়াদিল্লি, 23 নভেম্বর: বিয়ের পর মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে, সেটাই রীতি ৷ কিন্তু বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার এমন আড়ম্বরপূর্ণ বিদায় নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর । গ্রামবাসীর ভিড়ও জমে কনের বাড়িতে । সবাই তাজ্জব হয়ে দেখলেন, মেয়েকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন কৃষক বাবা ৷ যার জন্য তিনি খরচ করেছেন আট লক্ষ টাকা ৷
কনের বিদায় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল 27 জন পুলিশকর্মী । কিছু পড়েই মাঠে ধুলো উড়িয়ে নেমে আসে হেলিকপ্টার ৷ বর-কনে গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হেলিকপ্টারের দিকে এগিয়ে যান । হেলিকপ্টারে চড়ে কনে বিদায় গোটা গ্রামবাসীর কাছেই স্মরণীয় হয়ে রইল । এই বিয়ের অনুষ্ঠান গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকার রুস্তমপুর গ্রামের বুলন্দশহরে হয়েছে ৷
কনের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব মাত্র 14 কিলোমিটার । বর-কনেকে নিয়ে সেই পথ পেরোতে হাজির হয়েছিল হেলিকপ্টার ৷ যার জন্য কনের বাবার খরচ হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা । একইসঙ্গে, গোটা ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ কমিশনারেটের একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে নয়জন সাব-ইন্সপেক্টর এবং 18 জন কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হয় ৷
রুস্তমপুর গ্রামে বর হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে গেলেন কনেকে, যা দেখতে ভিড় জমে যায় এলাকায় । উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রুস্তমপুর গ্রামে সুভাষ সিংয়ের মেয়ে অঞ্জলি রাজপুতের বিয়ে হয় । অঞ্জলির বরের নাম আমন, যিনি পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট । তিনি মহমাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ যদিও বর্তমানে তিনি বুলন্দশহরের কাকোদে তাঁর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন ৷
আশেপাশের গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ কনের বিদায় দেখতে ভিড় জমান । সেই কারণে বরের বাবা 27 জন পুলিশ সদস্যের নজরদারিতে হেলিকপ্টারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন ৷ বিদায়ের জন্য বরের বাবা গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ফোর্স চেয়েছিলেন ৷ তারপরেই ডিসিপি গ্রেটার নয়ডার অনুমতি মেলে হেলিকপ্টারের জন্য । নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে শুক্রবার সকাল সাতটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ আর বিকেল তিনটের দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে কনেকে নিয়ে যান বর ।