বড়শুল, 23 নভেম্বর: সরকারি জমির উপর একের পর এক গড়ে উঠছে বড় বড় দোকান ঘর । অথচ, কিছুই জানে না স্থানীয় প্রশাসন । বিডিওর কানে খবর যেতেই নোটিশ জারি করলেন তিনি । শো-কজ করলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে । ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল এলাকার । অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান টাকার বিনিময়ে সেই দোকান ঘর বিলি করেছেন । যদিও প্রধানের দাবি, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । সেটা মিটে যাবে ।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, বড়শুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাজ্য সরকারের কমিউনিটি ডেভলপমেন্টের একটা জায়গা রয়েছে । সেখানে রয়েছে সরকারের তরফে তৈরি কঠিন-তরল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ । তার পাশে পাঁচিলের গায়ে সারিবদ্ধভাবে তৈরি হয়েছে 17টি নতুন দোকান ঘর ৷ এই নিয়ে শুরু হয় তরজা । অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার 70 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই দোকানঘরগুলি বণ্টন করেছেন ৷ সেই অভিযোগ কানে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন ৷
বর্ধমান-2 ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, "নির্মাণ কাজের একটা অভিযোগ পেয়েছি । কীভাবে সেই নির্মাণ হচ্ছে, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে প্রধানের কাছে । নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি ৷" এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার বলেন, "পঞ্চায়েতের তরফে বেশকিছু দোকানঘর তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল । আমি বাইরে ছিলাম ৷ সেখান থেকেই জানতে পারি দোকান ঘর নিয়ে বেশ কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে । আমি তড়িঘড়ি ফিরে এসে যাবতীয় কাগজপত্র পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে জমা দিয়েছি । বিডিও আমাকে শো-কজ করেছেন । সেই চিঠির যথাযথ উত্তর-সহ উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দেব । আশা করছি সব ভুল বোঝাবুঝি খুব শীঘ্রই মিটে যাবে ৷"
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, "সরকারি জায়গাতে অনুমতি ছাড়া কেউ কোনও নির্মাণ কাজ করতে পারে না । এক্ষেত্রে নির্মাণ করা হলে সেটা অবৈধ নির্মাণ । ফলে অবৈধভাবে নির্মাণের বিষয়টি প্রমাণিত হলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"