পটনা, 26 সেপ্টেম্বর: আরও ভয়াবহ বিহারে বন্যা পরিস্থিতি ৷ নদীগুলিও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির জেরে নদী ও পুকুরের জলস্তরও বৃদ্ধি হয়েছে। এই অবস্থায় গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জেলায় জলে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। জিতিয়া উৎসব বা জিতাষ্টমীতে 14 জেলায় পুকুর ও জলাশয়ে স্নান করতে গিয়ে 40 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ঔরঙ্গাবাদে 10 জনের মৃত্যু: জিতিয়া উৎসবের সময় বেশি মৃত্যু হয়েছে ঔরঙ্গাবাদে। ইথাত গ্রামে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ শিশুর। মদনপুর ব্লকের কুসাহা গ্রামে জলে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
औरंगाबाद जिला अंतर्गत मदनपुर प्रखण्ड के कुशहा गांव में 04 बच्चों तथा बारूण प्रखण्ड के इटहट गांव में 03 बच्चों की नहाने के दौरान डूबने से हुई मृत्यु दुःखद। मृतकों के आश्रितों को चार-चार लाख रू॰ की अनुग्रह राशि अविलंब उपलब्ध कराने का निर्देश दिया है। शोक संतप्त परिजनों को दुःख की…
— Nitish Kumar (@NitishKumar) September 25, 2024
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "দ্রুত মৃতের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই শোকের মুহুর্তে শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই ৷ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি তাদের মঙ্গল করুন।"
কৈমুরে 7 জনের মৃত্যু: কৈমুরের বিভিন্ন স্থানে নদী ও পুকুরে ডুবে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন কিশোর। ভভুয়া প্রখঞ্জের রূপপুর গ্রামে দুর্গাবতী নদীতে ডুবে কিশান কুমার (16) এবং সত্যম কুমার (16)-এর মৃত্যু হয় ৷ রামগড় থানার একটি গ্রামে সুমিত কুমার (15) এবং মোহনিয়া থানা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে আনন্দ গুপ্তার (15)। সোনাহান থানা এলাকার তরহানি গ্রামে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে রোহন বিন্দ (10)। দুর্গাবতী থানা এলাকার কল্যাণপুর গ্রামে মৃত্যু হয় আনমোল গুপ্তের (8)।
সরণে 5 শিশুর মৃত্যু: বুধবার সরণের চাপড়ায় জলে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চাপড়ায় স্নান করতে গিয়ে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷
পটনায় 5 জনের মৃত্যু: রাজধানী পটনায় জিতিয়া উৎসব বা জিতাষ্টমী উৎসবের সময় জলে ডুবে 4 মহিলা-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিহতার আমানাবাদ হালকোরিয়া চক গ্রামের সন নদীতে ডুবে চার কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল চার কিশোরী। জানা গিয়েছে, নদীর প্রবল স্রোতে পা পিছলে সকলেই নদীতে ডুবে যায়। ভগবানগঞ্জের রাজাচক গ্রামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সেও পিছলে নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যান ৷ বুধবার সন্ধ্যায় ভগবানগঞ্জ থানা এলাকার দেওরিয়া সেতুর কাছে পুনপুন নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়।
মতিহারিতে 5 জনের মৃত্যু: পূর্ব চম্পারণের মতিহারিতে জিতিয়া উৎসবে জলে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। কল্যাণপুর ব্লকের গরিবা পঞ্চায়েতে পরিবারের সঙ্গে স্নান করতে যাওয়া দুই শিশু পিছলে সোমবতী নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় ৷ অন্যদিকে, বৃন্দাবন পঞ্চায়েতে জলভর্তি গর্তে পরে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা ও মেয়ের। হরসিদ্ধি থানার বিশুনপুরা পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম চম্পারণে জলে ডুবে 3 জনের মৃত্যু: পশ্চিম চম্পারণেও জলে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জিয়িয়া উৎসবের সময় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
রোহতাসে 3 জনের মৃত্যু: রোহতাসের দেহরিতে জিতিয়া উৎসবে শ্যোন নদীতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নদীতে স্নান করতে যাওয়া শিশুরা ডুবে যায় ৷ স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় তিন শিশুর মধ্যে দুই শিশুকে নিরাপদে জল থেকে বের করা হলেও একজন শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। 13 বছর বয়সি পবন গিরির খোঁজ এখনও চলছে।
বেগুসরাইয়ে 2 জন নিহত: বেগুসরাইয়ে জিয়িয়া উৎসবের দিন গঙ্গা নদীতে স্নান করতে গিয়ে দুই বন্ধুর ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার 18 ঘণ্টা পর শিশু দুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে চকিয়া থানা এলাকার রূপনগর সিমারিয়া গঙ্গা ঘাটে। প্রায় সাত ঘণ্টা পর পরিবার শিশু মৃত্যুর খবর পায় ৷ মৃতদের নাম কানহাইয়া কুমার (14), শিবস্থান গ্রামের বাসিন্দা ভোলা সিংহের ছেলে, এফসিআই থানা এলাকার বেহাত পুরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং 22 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজয় জয়সওয়ালের ছেলে ঋষভ কুমার।