ETV Bharat / state

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে প্রতারিত ! টাকা ফেরত চান পোলবার নীলাভ্র

নীলাভ্র ও তাঁর বাবার দাবি, টাকা উত্তরবঙ্গের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় । শত চেষ্টা করেও সে টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি, ট্যাবও কেনা হয়নি ।

Taruner Swapna Scheme
টাকা ফেরত চায় পোলবার নীলাভ্র (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

পোলবা, 15 নভেম্বর: রাজ্যেজুড়ে ট্যাব প্রতারণার স্বীকার একাধিক পড়ুয়া । তদন্তকারীরা বলছেন, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকার প্রতারণা জাল বোনা হয়েছিল দু’বছর আগে থেকেই । ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল 2022 সালে, পোলবায় ৷ সেসময়ে পোলবার শরৎচন্দ্র মেমোরিয়াল এইচএস ইন্সটিটিউশন স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন নীলাভ্র হালদার । ক্লাসে 68 জন পড়ুয়ার মধ্যে একমাত্র তাঁরই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি । তখন স্কুলে ব্যাঙ্ক ও শিক্ষা দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । পরে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি ৷

বর্তমানে নীলাভ পোলবা কলেজে ইংরেজি অনার্সের ছাত্র । নীলাভ্র ও তাঁর বাবার দাবি, তাঁর প্রাপ্য টাকা উত্তরবঙ্গের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় । শত চেষ্টা করেও সে টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি, ট্যাবও কেনা হয়নি । এখন ব্যাপক হারে এই প্রতারণা সামনে আসছে, তাঁরও ন্যায্য টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক ।

হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর, হরিপাল, চণ্ডীতলা, তারকেশ্বর, দাদপুর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ 90 জনেরও বেশী পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে । যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি । বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্রদের তথ্য থাকে । সেইখানে সহজেই লগ ইন করে ব্যাঙ্কের তথ্য পরিবর্তন করে টাকা অন্য অ্য়াকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে ।

নীলাভর বাবা তাপস হালদার বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্প তরুণের স্বপ্নের টাকা সবাই পেল ৷ অথচ আমার ছেলে পেল না । নীলাভ্রর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি ৷ অথচ ওর সহপাঠীদের টাকা ঢুকেছে ৷ স্কুল থেকে এফআইআর করা হয় । সাইবার ক্রাইম থানা থেকে আমাকে চিঠিও দেওয়া হয় । সেখানে বলা হয়, উত্তরবঙ্গে একটা অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে । ছেলের ইউকো ব্যাংকে টাকা ঢোকার কথা ছিল, সেই টাকা চলে গেল উত্তর দিনাজপুরের এসবিআই ব্যাঙ্কে । সেই টাকা আজ পর্যন্ত ফেরেনি ।’’

শরৎচন্দ্র এইচএস ইন্সটিটিউটশনের স্কুলের টিচার ইনচার্জ শিখা বাগ বলেন, ‘‘আমার স্কুলে সেসময় 68 জন পড়ুয়া ছিল ৷ তার মধ্যে 67 জন পেয়েছিল, শুধু নীলাভ্র পায়নি । এবছর 92 জন টাকা পেয়েছে । নীলাভ্রর বিষয়টা জানার পর ডিআই অফিসে গিয়ে জানতে পারি, আরও অনেক স্কুলের এরকম কয়েকজনের টাকা গায়েব হয়েছে । তখন আমরা বিষয়টা বুঝতে পারিনি । আমাদের কোনও ভুল হয়েছে কি না সেটাই জানার চেষ্টা করছিলাম । এখন দেখছি ব্যাপক হারে হয়েছে ।’’

আরও পড়ুন

পোলবা, 15 নভেম্বর: রাজ্যেজুড়ে ট্যাব প্রতারণার স্বীকার একাধিক পড়ুয়া । তদন্তকারীরা বলছেন, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকার প্রতারণা জাল বোনা হয়েছিল দু’বছর আগে থেকেই । ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল 2022 সালে, পোলবায় ৷ সেসময়ে পোলবার শরৎচন্দ্র মেমোরিয়াল এইচএস ইন্সটিটিউশন স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন নীলাভ্র হালদার । ক্লাসে 68 জন পড়ুয়ার মধ্যে একমাত্র তাঁরই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি । তখন স্কুলে ব্যাঙ্ক ও শিক্ষা দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । পরে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি ৷

বর্তমানে নীলাভ পোলবা কলেজে ইংরেজি অনার্সের ছাত্র । নীলাভ্র ও তাঁর বাবার দাবি, তাঁর প্রাপ্য টাকা উত্তরবঙ্গের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় । শত চেষ্টা করেও সে টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি, ট্যাবও কেনা হয়নি । এখন ব্যাপক হারে এই প্রতারণা সামনে আসছে, তাঁরও ন্যায্য টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক ।

হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর, হরিপাল, চণ্ডীতলা, তারকেশ্বর, দাদপুর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ 90 জনেরও বেশী পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে । যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি । বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্রদের তথ্য থাকে । সেইখানে সহজেই লগ ইন করে ব্যাঙ্কের তথ্য পরিবর্তন করে টাকা অন্য অ্য়াকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে ।

নীলাভর বাবা তাপস হালদার বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্প তরুণের স্বপ্নের টাকা সবাই পেল ৷ অথচ আমার ছেলে পেল না । নীলাভ্রর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি ৷ অথচ ওর সহপাঠীদের টাকা ঢুকেছে ৷ স্কুল থেকে এফআইআর করা হয় । সাইবার ক্রাইম থানা থেকে আমাকে চিঠিও দেওয়া হয় । সেখানে বলা হয়, উত্তরবঙ্গে একটা অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে । ছেলের ইউকো ব্যাংকে টাকা ঢোকার কথা ছিল, সেই টাকা চলে গেল উত্তর দিনাজপুরের এসবিআই ব্যাঙ্কে । সেই টাকা আজ পর্যন্ত ফেরেনি ।’’

শরৎচন্দ্র এইচএস ইন্সটিটিউটশনের স্কুলের টিচার ইনচার্জ শিখা বাগ বলেন, ‘‘আমার স্কুলে সেসময় 68 জন পড়ুয়া ছিল ৷ তার মধ্যে 67 জন পেয়েছিল, শুধু নীলাভ্র পায়নি । এবছর 92 জন টাকা পেয়েছে । নীলাভ্রর বিষয়টা জানার পর ডিআই অফিসে গিয়ে জানতে পারি, আরও অনেক স্কুলের এরকম কয়েকজনের টাকা গায়েব হয়েছে । তখন আমরা বিষয়টা বুঝতে পারিনি । আমাদের কোনও ভুল হয়েছে কি না সেটাই জানার চেষ্টা করছিলাম । এখন দেখছি ব্যাপক হারে হয়েছে ।’’

আরও পড়ুন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.