হায়দরাবাদ, 15 জুন: রামোজি রাওয়ের 7.5 ফুটের মূর্তি স্থাপন করা হবে বিশাখাপত্তনমে ৷ রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যানের মূর্তিটি তৈরি করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমা জেলার কোথাপেটের বিখ্যাত ভাস্কর রাজাকুমার উদায়ার ৷ তেলুগু সমাজে মিডিয়া ব্যারন রামোজি রাওয়ের অবদান অতুলনীয় ৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁর চেতনা এবং মতাদর্শ চিরস্মরণীয় করে রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে এই মূর্তিটি ৷ মূর্তিটির কাজ পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন বিজয়নগরমের সাংসদ কালিশেট্টি আপ্পালানাইডু ৷
জানা গিয়েছে, বিজয়নগরমের সাংসদই রামোজি রাওয়ের মূর্তিটি রাজাকুমারকে তৈরি করতে বলেন ৷ এরপরেই শিল্পী মূর্তি তৈরির কাজে নেমে পড়েন ৷ রাজাকুমার উদায়ার বলেন, "মূর্তি গড়ার জন্য আমি রামোজি রাওয়ের অনেক ছবি দেখি ৷ সেগুলির মধ্যে এই ছবিটা বেছে নিই ৷ এই ছবিটা যখন তোলা হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল 60 বছর । আমি এই ছবিটি দেখে রামোজি রাওয়ের মূর্তি তৈরি করতে শুরু করি । মূর্তি তৈরির কাজ চার দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলি আমি ৷"
মূর্তিটি বিশাখাপত্তনমে রাখা হবে কারণ ইনাডু কাগজের সূচনা হয়েছিল এখান থেকে ৷ বিজয়নগরমের সাংসদ কালিশেট্টি আপ্পালানাইডু বলেছেন, "আমরা 7.5 ফুটের মূর্তিটি বিশাখাপত্তনমে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আরও একটি রামোজি রাওয়ের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে ৷ সেটাকে শ্রীকাকুলাম জেলার রানাস্থলামের সাই ডিগ্রি কলেজের মাঠে রাখা হবে ।" শুক্রবার বিজয়নগরমের সাংসদ মূর্তিটির কাজ পরিদর্শন করেন এবং সঙ্গে মূর্তির কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন করতে শিল্পীকে পরামর্শ দেন ৷
8 জুন ভোর 4টে 50 মিনিটে হায়দরাবাদের স্টার হাসপাতালে 87 বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রামোজি রাও ৷ গত 5 তারিখ থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে রামোজি রাও'কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছিল রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যানের ৷ এরপর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷
পরিবারের সদস্যরা, প্রিয়জনেরা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং অগণিত অনুগামীরা চোখের জলে বিদায় জানান রামোজি গ্রুপ অফ কোম্পানিজের চেয়ারম্যানকে ৷ পদ্মবিভূষণে সম্মানিত রামোজি রাও তাঁর জীবদ্দশায় নিজের শেষকৃত্যের জন্য 'স্মৃতি ভানাম' জায়গাটি বাছাই করে দিয়েছিলেন ৷ গত রবিবার সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৷ শেষকৃত্যের আগে ভারতীয় সিনেমা ও মিডিয়া শিরোমণির দেহ রামোজি ফিল্ম সিটিতে এনে পরিক্রমা করানো হয় ৷ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইটিভি ভারতের কর্মীরাও সিক্ত নয়নে রামোজি রাওয়ের শেষযাত্রায় অংশ নেন ৷