নয়াদিল্লি, 4 মার্চ: ঘুষের বদলে ভোটের অভিযোগে সংসদীয় রক্ষাকবচ পাবেন না সাংসদ এবং বিধায়করা ৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, কোনও জনপ্রতিনিধিদের আইনসভায় বক্তৃতা দিতে বা ভোট দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে ৷ এক্ষেত্রে সাংসদ বা বিধায়করা কোনওরকম রক্ষাকবচ পাবেন না ৷ মূলত, 1998 সালে জেএমএম ঘুষকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে, সেই রক্ষাকবচ তুলে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷
উল্লেখ্য, জেএমএমের চার বিধায়ক এবং 8 সাংসদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ 1993 সালে পিভি নরসিমা রাওয়ের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে এই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই মামলায় 1998 সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বিধায়ক এবং সাংসদদের ঘুষকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল ৷ সেই থেকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এমন কোনও অভিযোগ উঠলে তদন্তের ক্ষেত্রে সংসদীয় রক্ষাকবচ পান সাংসদ এবং বিধায়করা ৷
আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ 1998 সালের সেই রায়কে খারিজ করে দিয়েছে ৷ রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, "ঘুষ নেওয়া কোনওভাবেই সংসদীয় বিশেষাধিকার দ্বারা সুরক্ষিত নয় ৷ আর 1998 সালের রায়ের ব্যাখ্যা সংবিধানের 105 ও 194 নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ৷ ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ 105 ও 194 বিধানসভা ও সংসদে, বিধায়ক এবং সাংসদদের বিশেষাধিকারের উপর কাজ করে ৷"
সর্বোচ্চ আদালত আরও বলেছে, "সংসদ বা আইনসভার কার্যক্রমের সঙ্গে সংযোগহীন কোনও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের করলে এমন একটি শ্রেণির জন্ম তৈরি হবে, যারা দেশের আইনের উর্ধ্বে উঠে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠবে ৷" ঘুষের অপরাধটি বেআইনিভাবে স্বচ্ছতার মোড়কে উপস্থাপন করা হচ্ছিল বলে মন্তব্য করে বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন: