কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: রাজ্যে বাম সরকারের আমলে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ । পূর্ব মেদিনীপুরে 2009 সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চের নির্দেশ, দ্রুত জেলাশাসককে সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করতে হবে । বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে । আইনজীবী মহলের অনুমান, পরবর্তী শুনানিতে জেলাশাসককে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে আদালতের তরফে ।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন মৃণালকান্তি মাইতি বলে এক ব্যক্তি ৷ তাঁর অভিযোগ, 2009 সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত পরীক্ষকদের আত্মীয়রাই বেশি চাকরি পেয়েছেন । তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তৎকালীন শিক্ষা সচিব রিপোর্ট পেশ করে জানান, 2009 সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কোনও আত্মীয় ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন না ৷
মঙ্গলবার মামলার ফের শুনানি হয় ৷ শুনানি শুরু হতেই উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, সেই বছরের সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করতে হবে জেলাশাসককে ৷ বিচারপতির এই নির্দেশের পর তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবী মহলের অভিযোগ, সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল ৷ আগামী বৃহস্পতিবার বিচারপতি এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি করবেন বলে জানান ৷
উল্লেখ্য, এর আগে 2009 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাওড়া, মালদা এবং দুই 24 পরগনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল । সেই মামলায় দীর্ঘদিন শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ও বিচারপতি অমৃতা সিনহা যোগ্যদের চাকরিতে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।