লখনউ, 26 নভেম্বর: ব্রিটিশ না ভারতীয় ! কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রধান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির নাগরিকত্ব নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 19 ডিসেম্বর ৷ এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷
কংগ্রেস সাংসদের দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি ৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কর্ণাটকের বাসিন্দা এস ভিগনেশ শিশির ৷ সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল ৷ শুনানি চলাকালীন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফে সমস্ত তথ্য় জমা দেওয়া হয় ৷ এরপরই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 19 ডিসেম্বর ৷
এর আগে এই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় কেন্দ্র এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন রায় ও ওমপ্রকাশ শুক্লার ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বিচারপতিরা জানান, কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী মতামত রয়েছে ? তা জানাতে হবে ৷ কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য 25 নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় আদালতের তরফে ৷ সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার সমস্ত তথ্য আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্র ৷
মামলাকারী এস ভিগনেশ শিশিরের দাবি, রাহুল গান্ধির কাছে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে ৷ সুতরাং, ভারতীয় নির্বাচনে তাঁর লড়াইয়ের কোনও অধিকার নেই ৷ যদিও এর আগে তিনি দু'বার জনস্বার্থ মামলা করেন ৷ তবে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দু'বারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ এরপর আর কোনও উপায় না-পেয়ে, উচ্চ আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান এস ভিগনেশ ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে কংগ্রেস সাংসদের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী ৷ রাহুল গান্ধির ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি ৷ বিজেপি নেতার দাবি, 2005 ও 2006 সালে এক ব্রিটিশ সংস্থার মাধ্য়মে কংগ্রেস সাংসদের দাখিল করা বার্ষিক রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য তাঁর ব্রিটিশ হওয়ার প্রমাণ ৷