Wild Elephant Died: ঘুমপাড়ানি গুলিতে বনদফতর কাবু করলেও ঝাড়গ্রামে মৃত্যু ঘাতক গজরাজের
🎬 Watch Now: Feature Video
দলছুট বুনো হাতির হানায় একের পর এক মৃত্যু । অবশেষে শনিবার ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল ঘাতক হাতিটির। শুক্রবার রাত থেকে তাকে ধরার কাজ শুরু হয়েছিল ৷ শনিবার দুপুরে সাফল্য পায় বনদফতর । দলছুট দাঁতালটির হানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দু'জন এবং ঝাড়গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে । হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রায়শই হানা দিচ্ছিল । যার ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকার মানুষজন । অবশেষে বনদফতর উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করে হাতিটিকে পাকড়াও করার সিদ্ধান্ত নেয় । ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের অন্তর্গত লোধাশুলি রেঞ্জের বিরিহাঁড়ি বিটের কাজলার জঙ্গলে দিন কয়েক ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল দলছুট হাতিটি । এ দিন ভোরে হাতিটিকে প্রথমে কাজলার জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয় । ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) অশোক প্রতাপ সিং, ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত ডিএফও শিবানন্দ রাম। কাজলার জঙ্গলের এক কিলোমিটার ভেতরে হাতিটি পেঙ্কুলাইজ হয় । প্রথমে হাতিটির দুটি চোখ গামছায় ঢেকে দেওয়া হয় । জঙ্গলের ভিতর হাইড্রা মেশিন ঢুকিয়ে হাতিটিকে বেল্টের সাহায্যে বেঁধে ঝুলিয়ে জঙ্গল থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয় । তারপরে বড় লরিতে লোড করে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হয় বুনো হাতিটিকে।
ঘটনার অনতিপরেই মৃত্যু হয় হাতিটির ৷ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "হাতিটির পেটে একটি গভীর ক্ষত আগে থেকেই ছিল । হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করার আগে বিষয়টি জানা ছিল না । সামান্য পরিমাণে ঘুমপাড়ানি গুলিতে ডোজ দেওয়া হয়েছিল । হাতিটির তলপেটে গভীর ক্ষত থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে মনে হচ্ছে । ময়নাতদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"