হায়দরাবাদ: শীতকালে শুষ্কতার সমস্যা শুধু ত্বকেই নয়, এর প্রভাব মাথার ত্বকেও দেখা যায় । যা চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে ৷ কিন্তু জেনে নিন, খুশকি এবং শুষ্ক মাথার ত্বকের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Dandruff and Dry Scalp)।
খুশকির অবস্থা: মাথার ত্বকে মরা চামড়া জমতে শুরু করলে তা আঁশযুক্ত ত্বকে রূপ নিতে শুরু করে । খুশকি হল বড় হলুদ ফ্ল্যাকি মরা চামড়া। যাইহোক, এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে খুব তৈলাক্ত মাথার ত্বকে খুশকির সমস্যাও হতে পারে, যার কারণে ক্রমাগত চুলকানি হয় । সময়মতো চিকিৎসা না-করালে মুখ, পিঠ ও ঘাড়ে ব্রণের সমস্যাও হতে পারে ।
এই ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে খুশকির চিকিৎসা করুন
নারকেল তেল: নারকেল তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এছাড়া এটি মাথার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে । এটি প্রয়োগ করার আগে, এটি গরম করুন এবং চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান । এটি কমপক্ষে 1 ঘণ্টা রাখুন । এর পর শ্যাম্পু করুন । নারকেল তেল চুলের জন্য সেরা তেল । এটি মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং তৈলাক্ত নয় এবং চুলও নরম থাকে ।
জোজোবা তেল: এই তেল লাগালে শুষ্ক মাথার ত্বকের সমস্যাও দূর হয় এবং এটি হাইড্রেটেড থাকে । এই তেল চুলের গোড়ায় পৌঁছে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে । এটি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে । এটি সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান এবং হালকাভাবে মাসাজ করুন । যাইহোক আপনি এটি শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়েও প্রয়োগ করতে পারেন ।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা শুধু আজ নয়, অনেক আগে থেকেই খুশকি মোকাবিলায় ব্যবহৃত হচ্ছে । এটি চুল সংক্রান্ত অনেক ধরনের সমস্যা দূর করে যার মধ্যে একটি হল খুশকি । অ্যালোভেরা জেল বের করে মিক্সারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন । 30-45 মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েল: বেকিং সোডা এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ খুশকির সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী । এটি মরা চামড়া দূর করে এবং মাথার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে । সমপরিমাণ বেকিং সোডা ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান । বেশি নয় 15 মিনিট পর শ্যাম্পু করুন ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)