হায়দরাবাদ: আমরা সবাই জানি যে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা জরুরি ৷ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা, সময়মতো ঘুমোনো এবং ঘুম থেকে ওঠা এবং চাপমুক্ত থাকা জরুরি ৷ কিন্তু দুর্বল ইচ্ছাশক্তি, অলসতা, ব্যস্ত জীবনযাপন এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণে অক্ষমতার কারণে । হাঁটার সময় এই বিষয়গুলি মেনে চলতে অক্ষম । তারপর যখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি বা কোনও সমস্যায় ভুগতে থাকি, তখন আমাদের জ্ঞান আসে ৷ তাহলে কেন ফিট থাকার জন্য অসুস্থ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব এবং আমাদের শরীর ও মনকে ফিট রাখতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই । আপনার রুটিনে এই ছোট পরিবর্তনগুলি করে বড় পরিবর্তন আনতে পারেন ।
30 মিনিট আগে জেগে উঠুন: সকালে উঠতে অসুবিধা হয়, তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই অভ্যাসটি অবলম্বন করে আপনি সকালে নিজের জন্য একটি ভালো সময় বের করতে পারেন । অফিস, স্কুল বা অন্য কাজ করতে কোনও তাড়া নেই । যার কারণে প্রতিটি কাজ তা ব্রেকফাস্ট হোক বা না হোক, ব্যায়ামের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে ৷ যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে না । আপনার ঘুম থেকে ওঠার ঠিক 30 মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন । এই 30 মিনিট আপনার শরীরকে দিন ৷ আপনার পছন্দের কাজে ব্যয় করুন । আপনার শখ সম্পর্কে চিন্তা করুন, শান্তভাবে বসুন এবং প্রকৃতি দেখুন, প্রাতঃরাশ করুন, সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিন পড়ুন । দিনে এই কাজগুলি আপনাকে চাপমুক্ত করে তুলবে ।
25 মিনিট হাঁটুন: প্রতিদিন 10 হাজার বা 9 হাজার ধাপ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করুন । হাঁটার চেয়ে ভালো ব্যায়াম আর হয় না । প্রতিদিন সকালে প্রায় 25 মিনিট হাঁটলে, আপনি সারা দিন এনার্জীটিক থাকবেন । সকালের হাঁটার মাধ্যমে 10 হাজার ধাপ পূর্ণ করার প্রয়োজন নেই ৷ আপনি কেনাকাটা বা দুপুরের খাবারের বিরতির সময়ও হাঁটতে পারেন । এই ছোট রুটিন পরিবর্তনগুলি একটি সুস্থ মন এবং শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
20 মিনিটের ডিজিটাল ডিটক্স: ফোন এবং অন্যান্য মেশিনের মধ্যে জীবনযাপন যা জীবনকে সহজ করে তোলে ৷ আমরা একটু আত্মকেন্দ্রিক এবং শুধুমাত্র আমাদের কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি । যা আমাদের জীবনের জন্য ভালো অভ্যাস নয় । দিনে বেশি নয়, শুধু 20-30 মিনিট সময় নিন যে সময় আপনি আপনার ফোন বা ল্যাপটপ বা কোনও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবেন না । এতে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় ।
15 মিনিট ধ্যান করুন: সুস্থ থাকতে যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের জন্য আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থেকে মাত্র 15 মিনিট সময় নিন । শরীরের নড়াচড়ার পাশাপাশি ধ্যান এবং শিথিলকরণের কৌশলগুলি শিখুন । এই সামান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে ফিট রাখতে পারেন এবং অনেক রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন । এসব ব্যবস্থায় শরীর ও মন দু'টোই সুস্থ থাকে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)