হায়দরাবাদ : পুষ্টিবিদ তথা স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস বিশেষজ্ঞ যশ বর্ধন স্বামী বলেন, "প্রথম যে বিষয়টি আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে তা হল আমাদের শরীরের প্রতিটি সিস্টেম পরস্পর সংযুক্ত । সুতরাং, আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে ৷ উভয়েরই একসঙ্গে কাজ করে ।" আর তাই শরীর এবং মন সতেজ থাকলেই সমস্ত কাজে মনোযোগ দেওয়া এবং নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া সম্ভব হবে ৷ দেখে নিন শরীর এবং মনকে সতেজ রাখার পাঁচটি টিপস (How to Have a Healthy Body and Mind) ৷
- খাবার নির্বাচনে পুষ্টির ওপর জোর দেওয়া : এর মানে এই নয় যে আমরা সব সময় স্যালাড খেয়ে যাব, তবে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি থেকে শুরু করে ভিটামিন এবং মিনারেল আমাদের যতটা প্রয়োজন তা যেন আমাদের শরীরকে দিতে পারি ৷ এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের মোট ক্যালরি গ্রহণ আমাদের শরীরের গঠন লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ৷ সেই অনুযায়ী আমাদের প্রিয় এবং প্রধান খাবার নির্বাচন করা দরকার । আমাদের আরও মনে রাখা উচিত যে আমাদের শরীরের 50-60 শতাংশ জল দ্বারা গঠিত ৷ তাই সুস্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার সঠিক রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত জল খাওয়া একান্ত প্রয়োজন।
- ব্যায়াম : সপ্তাহে অন্তত 3-5 বার ব্যায়াম সেশন করা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল । যেকোনও ধরনের ব্যায়াম যা আপনারর জন্য নিরাপদ এবং আপনি উপভোগ করেন তা দিয়েই শুরু করুন ।
- ঘুম: প্রতি রাতে সাড়ে সাত ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুম খুবই উপকারি ৷ এর ফলে সবচেয়ে ভাল চর্বি হ্রাস হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও সঠিক থাকে । পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের উৎপাদনশীলতাকেও উন্নত করে ৷
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মননশীলতা : স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ৷ যদি মানসিক চাপকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে আমাদের আরও ভাল পারফর্ম করতে এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জনে অনেক সুবিধা হতে পারে । মনে রাখবেন, আমাদের চিন্তার গুণমান আমাদের জীবনের গুণমানকে নির্দেশ করে । সুতরাং, আমাদের সক্রিয়ভাবে আমাদের মন নিয়ে কাজ করা উচিত, নিজেদের আরও উন্নত করা এবং 'মানসিক' ত্রুটিগুলিকে যতটা সম্ভব কম করা উচিত । নিয়মিত ধ্যান করা এক্ষেত্রে খুব উপকারি ৷
- পরিবেশ এবং রুটিন ব্যবস্থাপনা : পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় আমাদের পরিবেশের সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত । রান্নাঘরের খাবার থেকে শুরু করে আমাদের অভ্যাস এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যাঁদের অনুসরণ করি সেই সমস্ত কিছু । আমরা কি নিজের আত্ম-উন্নতির জন্য এবং আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের জন্য যথেষ্ট সময় দিচ্ছি ? নিজেকে রোজ কিছু প্রশ্ন এক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করা যায় : যাঁদের নিয়ে আমার আশেপাশের আবর্তটি তৈরি তাঁরা কি আমাদের অনুপ্রাণিত করে? তাঁরা কি আমাদের এবং আমাদের লক্ষ্যকে সমর্থন করে? তাঁরা কি আমাদের উন্নতি করতে সাহায্য করে? প্রতিদিন এভাবে সকালে এবং রাতে নিজেকে প্রশ্ন করলেই নিজের লক্ষ্য নিজের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে ৷
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ হতে পারে নানা সমস্যার কারণ