কালনা, 15 নভেম্বর: প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা মহকুমা আদালত। বুধবার তাদের দু'জনকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন কালনা মহকুমা আদালতের বিচারক ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2015 সালের অক্টোবর মাসে কালনার উত্তর গোয়াড়া গ্রামে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় রতন দাস নামে এক ব্যক্তি। তিন দিন পরে রতন দাসের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী ঝুম্পা দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঝুম্পা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানায়, তার স্বামী ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক কারণে তার স্বামী কয়েকজনকে 40 লক্ষ টাকার দ্রব্য-সামগ্রী ধার দেন।
সেই টাকা যাতে শোধ দিতে না-হয় সেইজন্য যারা টাকা ধার নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেই কেউ এই খুনের ঘটনায় জড়িত। এদিকে ঝুম্পার কাকিমা পুলিশকে জানান, 2015 সালে যেদিন রতন দাস নিখোঁজ হন সেদিন প্রবীর নামের এক ব্য়ক্তির সঙ্গে ঝুম্পার ঝগড়াঝাটি হয়। পুলিশ দু'টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে রতন দাসের স্ত্রী ঝুম্পার সঙ্গে প্রবীর ঘোষ নামের ওই ব্যক্তির প্রেম রয়েছে। তারা এই ঘটনায় জড়িত।পুলিশ দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনার কথা সামনে আসে। প্রেমিক প্রবীরকে সঙ্গে নিয়ে ঝুম্পা তার স্বামীকে খুন করে ৷
এদিন সরকারি আইনজীবী বিকাশ রায় বলেন, "ঝুম্পা প্রথমে পুলিশকে ভুলপথে চালনা করছিল। 12 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে ঝুম্পা ও প্রবীরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদিন কালনা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।"