কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনের জন্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ চাওয়া হবে। শনিবার ক্লাবের ইসির বৈঠকে এনিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। ক্লাবের পুরনো নিয়মে ভোট হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্লাবের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
সেই সঙ্গেই দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও বলেন তিনি। আগামী 23 মার্চ ক্লাবের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তার আগে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্তও হয়েছে। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, "এটা আমাদের নির্বাচনের বছর। নির্বাচন হবে। সৃঞ্জয় বসু এদিন বক্তব্য রেখেছেন। আরও অনেকে আইনি পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা ঠিক করেছি, ক্লাবের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর কাছে চূড়ান্ত আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।"
সূত্রের খবর, কার্যকরী কমিটি প্রথমে বোর্ড গঠনের দিকে যাচ্ছিল না। কিন্তু, কুণাল ঘোষ বলেন, "নির্বাচনী বোর্ড গঠন সম্পূর্ণ করার কাজটি করা হোক। কর্মসমিতি সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে বোর্ড গঠন করেছে। নির্বাচন কমিটিও গঠিত হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিটি নির্বাচন পরিচালনা করবে বলে খবর। যেহেতু কমিটির সদস্যদের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ হয়নি তাই ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া কী নিয়মে হবে তা নিয়ে সচিব আইনি পরামর্শ নেবেন বলেছিলেন।
কুণাল ঘোষ অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের নাম প্রস্তাব করেন। যেটা মিটিংয়ে সকলে উপস্থিত মেনে নেবেন। এদিন কার্যকরী কমিটির বৈঠকে ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে আইনি কিছু পরামর্শ পেশ করেছেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। তাঁর বক্তব্য শোনা হয়। তিনি ছাড়াও মোহনবাগানের আরও কিছু সদস্য নির্বাচন নিয়ে আইনি পরামর্শ পাঠিয়েছেন ক্লাবে। ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে আরও কোনও সদস্য আইনি পরামর্শ দিতে চাইলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে। এই ব্যাপারে ক্লাবের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরামর্শ চাওয়া হবে।
বৈঠক শেষে প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বলেছেন, "নিয়ম অনুযায়ী মোহনবাগানের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেয়াদ 3 বছর। সেটা বাড়ানো যেতে পারে না। ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাইরে বলতে চাই না। আমি যেটা শুনলাম নির্বাচনী কমিটি হয়েছে। সেটার জন্য কার্যকরী কমিটিকে সাধুবাদ।" ক্লাবের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ বলেছেন, "ক্লাবের বর্তমান কমিটি অনৈতিকভাবে একটা দিনও অতিরিক্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় না।" তাই বলা যায়, মোহনবাগানে নির্বাচনের দামামা আরও জোরালো ভাবে বাজতে শুরু করল। এবং এবারের মোহনবাগানের নির্বাচনে রাজনৈতিক রং সরাসরি লাগার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে তা মনে করছে ময়দান।