রায়গঞ্জ, ৯ মার্চ : "তৃণমূল ডুমুরের ফুল নয়। মানুষের পাশে সবসময় আমাদের দলকেই পাওয়া যায়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। ভোটের সময়ে দার্জিলিং মেল ধরে এসে হাত নাড়লেই কাজ শেষ হয় না।" উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকির কর্মীসভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী।" তাঁর আরও সংযোজন, "অন্য রাজনৈতিক দলের যাঁরা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ হতে লাইন দিচ্ছেন। একনম্বর নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। আমাদের ৫১% ভোট এই জেলায় রয়েছে। ভোটের শতকরা হার আরও বাড়বে।"
আসন্ন লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে জেলা দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতেই আজ কর্মীসভার আয়োজন করেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। কীভাবে প্রচারের আসরে নামতে হবে তার পথ বাতলে দেন শুভেন্দুবাবু। সংগঠন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনকে মোদির বিরুদ্ধে দিদির লড়াই বলেও উল্লেখ করেন।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "যারা নির্বাচনে অন্য দল থেকে দাঁড়াবেন তাঁরা দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম হওয়ার লক্ষ্যে নামছেন। আমরা একনম্বর। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। এবারেও সাংসদ দেবে। পঞ্চায়েতের সঙ্গে সাংসদ থাকলে এলাকার উন্নয়নে আরও সুবিধে হয়। আগের সাংসদরা সেই অর্থে কোনও কাজ করেনি।"
বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, "চোপড়াতে শান্তি ফিরেছে। এখানে অশান্তির সৃষ্টি করেছিল কারা? পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কংগ্রেস, BJP ও CPI(M) একসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছে। নাম দিয়েছিল জোট। এদের কোনও নীতি নেই। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের CPI(M) প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, "BJP-র সঙ্গে কথা বলে কোথাও CID আবার CBI তদন্ত চাইছেন সেলিম। তিনি এখন রঙ মেখে ছদ্মবেশী সেজেছেন। চোপড়ার কনস্টেবল মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। তবে জেনে রাখুন, গতকাল ঘটনার পরই CID ও পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে। কনস্টেবলের পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। চাকরি ও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।
"