রায়গঞ্জ , 11 জুলাই : বাড়িতে পুলিশ ঢুকতে দেখে কার্তুজ গিলে ফেলল রায়গঞ্জ হাসপাতালের এক গ্রুপ-D কর্মী । তার নাম নুর ইসলাম (38) । বুধবার সন্ধ্যেয় উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার বারুইবাড়ি এলাকার ঘটনা । পরে পুলিশ নুরকে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করে । সেখানে চিকিৎসকরা তার পেটের এক্স-রে করেন । রিপোর্টে নুরের পেটে কার্তুজের উপস্থিতি জানতে পারেন চিকিৎসকরা ।
হাসপাতালে নুর বলেন, "বাড়িতে গতকাল হঠাৎ পুলিশ আসে। তারা আমার বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কেন তারা তল্লাশি চালাতে এসেছিল সেই সম্পর্কে কিছু জানায়নি । পুলিশ আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করছিল । নুরের দাবি, মানসিক হেনস্তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে সে কার্তুজ গিলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু তার বাড়িতে কার্তুজ কোথা থেকে এল তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেনি সে ।
স্ত্রীর সঙ্গে নুরের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে । নুরের অভিযোগ, সেই কারণে তার স্ত্রী ষড়যন্ত্র করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতেই বাড়িতে কার্তুজ রেখে তারপর পুলিশকে তল্লাশি করতে পাঠিয়েছিল । এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন "নুরের বাড়িতে পুলিশ রেড করতে যায়নি । ওর খোরপোশের মামলা চলছিল । সেই বিষয়ে পুলিশ ওর বাড়িতে গিয়েছিল ।" নুরের বাড়িতে কার্তুজ কোথা থেকে এল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।