নয়াদিল্লি, 19 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত ৷ এমনটাই বৃহস্পতিবার সংসদে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৷ একই সঙ্গে জোর দিয়ে আরও জানানো হয়েছে, সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের।
রাজ্যসভায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং এমনটাই জানিয়েছেন ৷ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্তাদের কাছে এই বিষয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগের কথা জানানোর পরই সংসদে এমনটা জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ৷ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত এমনটাও জানান তিনি ৷ সে দেশের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে জড়িত হিংসার ঘটনায় 70 জনকে গ্রেফতার করেছে এবং 88টি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।
কীর্তিবর্ধন সিং বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগগুলি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে ৷" বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমনই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, "ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনও সংখ্যালঘুদের কল্যাণের বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।" এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, "সংখ্যালঘু-সহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ৷"
কীর্তিবর্ধন সিং বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং তাঁদের বাড়ি থেকে শুরু করে কাজের জায়গা এবং ধর্মীয় স্থানে হামলার কতা উল্লেখ করেছে । মন্ত্রী র কথায়, "বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় মন্দির ও পুজো মণ্ডপে হামলার খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। ভারত সরকার এই বিষয়ে নিজের উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ৷"
এই হামলার পর, বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপুজো শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড মোতায়েন-সহ বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা জারি করেছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশ হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। 9 ডিসেম্বর বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফরের সময়ও একই কথা বলা হয়েছে ৷" (পিটিআই)