রায়গঞ্জ, 16 জুন : নিজেকে কোরোনা আক্রান্ত দাবি করে রায়গঞ্জ শিলিগুড়ি মোড়ের ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেন এক অটোচালক। তিনি বলেন, "আমি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছি । আমাকে সাহায্য করুন। " এই কথা বলেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে তাঁকে স্বাস্থ্যকর্মীরা রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান কোরোনা পরীক্ষার জন্য।
পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তির বাড়ি কালিয়াগঞ্জের বাঘন এলাকায় হলেও বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। রায়গঞ্জ শহরের অটো চালান ওই ব্যক্তি । বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন ওই অটোচালক। সম্প্রতি তাঁর শরীর খারাপ হওয়ায় স্ত্রী-কন্যার সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় থাকতে শুরু করেন তিনি।
আজ আচমকা তাঁর জ্বর আসে, সর্দি-কাশি এবং গলাব্যথা শুরু হয়। এরপরই তিনি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন ভেবে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় উপস্থিত ট্র্য়াফিক পুলিশের শরণাপন্ন হন। পুলিশকর্মীদের জানান, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে । দয়া করে তাঁরা যেন চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। এই ঘটনা জানতে পেরেই রায়গঞ্জ পৌরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা আসেন এবং ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির লালা রস পরীক্ষা করে তিনি কোরোনা আক্রান্ত কি না তা দেখা হবে ।
ওই ব্যক্তি জানান, কয়েকদিন ধরেই আমি অসুস্থ বোধ করছি। স্ত্রী এবং কন্যার সুরক্ষার জন্য বাড়ির বাইরেই থাকছিলাম। আজ শরীর আরও খারাপ হয়ে যাওয়ায় আমি পুলিশকর্মীদের কাছে সাহায্য চাই। আমার মনে হচ্ছে আমি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছি।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ওই ব্যক্তি কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানি না। তবে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন, তাই আমরা সাহায্য করেছি। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করেছি। লালা রস পরীক্ষার পরই জানা যাবে তিনি কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন কি না ।