বারাসত, 12 জানুয়ারি : বারাসতে প্রাইভেট গাড়ির চালক ও ভ্যান চালকের বিবাদ মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত পঞ্চাশোর্ধ টোটো চালক । তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মী ও তাঁর শ্বশুরের । জখম কার্তিক দাস নামে ওই টোটো চালক বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অনুপ সাহা নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে । তবে,নাগাল পাওয়া যায়নি অপর অভিযুক্ত পুলিস কর্মী অন্তু দাসের ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সন্ধ্যায় । বারাসত স্টেশন রোডে যাত্রী তোলার জন্য ইঞ্জিন ভ্যান রেখেছিলেন চালক । সেই সময় শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন পুলিস কর্মী অন্তু দাস । সামনে ইঞ্জিন ভ্যান থাকায় অন্তু দাসের গাড়ি এগোতে পারছিল না ।
এই অভিযোগে ভ্যান চালকের সঙ্গে অন্তু দাস ও তার শ্বশুরের বচসা বেঁধে যায় । এক সময় দু'জনে মিলে ইঞ্জিন ভ্যানের চালককে ভান থেকে নামিয়ে পাশের খালে ফেলে দিতে উদ্যত হয়। তা দেখতে পেয়ে কাছে থাকা কার্তিক দাস ওই দুজনকে থামাতে যান । তখন দুই চালকের বিবাদের মীমাংসা করে নিতে বলেন তিনি ।
আরও পড়ুন "স্থগিতাদেশে ভরসা নেই", আইন বাতিলের দাবি হান্নান মোল্লার
অভিযোগ,সেই সময় অন্তু দাস গাড়ির চাবি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে । তাঁর চোখের পাতা কেটে যায় ও নাক দিয়ে রক্ত বেরতে শুরু করে তাঁর । এরপরই সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা ।
জখম কার্তিক দাসকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । তাঁর ছেলে রবি দাস বলেন," কোনও কারণ ছাড়াই বাবাকে মারধর করা হয়েছে । ঘটনার পর মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে অভিযুক্তরা । মারধরের পর কেন মিটিয়ে নিতে যাবে?পুলিশের কাছে আবেদনে জানিয়েছি অভিযুক্তদের যেন কড়া শাস্তি হয় । একজন আইনের রক্ষক হয়ে যদি নিজেই আইন হাতে তুলে নেয়,তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? বাবার চোখের পাতার ওপর দুটি সেলাই পড়েছে ।"
আরও পড়ুন "রাবণের প্রশাসন"-কে দূর করে রামের সুশাসন আনার ডাক ভারতীর
এদিকে অভিযোগ পেয়ে নিবেদিতা পল্লীর বাড়ি থেকে অনুপ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । তবে,অভিযুক্ত পুলিশকর্মী অন্তু দাসের এখনও অবধি কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ।