বসিরহাট, 19 ডিসেম্বর: চলতি শীতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির পর্যটনের নতুন ঠিকানা টাকির রাজবাড়ি। উত্তর 24 পরগনার প্রাচীন রাজ পরিবারের (পুবের বাড়ি) হেরিটেজ বাড়িটি এবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী 25 ডিসেম্বর থেকে 1 জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবাড়িতে পর্যটন উৎসব শুরু হচ্ছে। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মনোরঞ্জনের জন্য ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে সেখানে বিনোদনের নানা উপাদান থাকছে।
টাকির রাজবাড়ি:
উত্তর 24 পরগনার ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলির মধ্যে টাকির (পুবের বাড়ি) রাজবাড়ি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার বাড়িটিকে হেরিটেজ স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফি বছর শীতের মরশুমে পর্যটকরা টাকির রাজবাড়িতে আসেন। বছরের অন্যান্য সময় অবশ্য সেই ভিড় থাকে না। পর্যটন শিল্পের মান বাড়াতে চলতি বছর অবশ্য রাজ পরিবারের উত্তরসূরিরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পর্যটকদের কাছে ঐতিহ্যের এই বাড়িটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য গ্রাম বাংলার শৈল্পিক উপাদান দিয়ে সাজানো হয়েছে।
রাজবাড়ির কী বিশেষত্ব:
তার মধ্যে বাঁশের ঝুড়ি, ধামা, কুলোর মতো নানা ঘরোয়া জিনিস রয়েছে। অল্প খরচে সেখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন রকমারি খাবারের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। সেই তালিকায় রেস্টুরেন্টের নানা পদ যেমন থাকছে। তেমনই গ্রামবাংলার পিঠেপুলির সম্ভারও সাজানো থাকবে। রাজবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদী । পর্যটকরা সেখানে নিজেদের মতো করে নৌকা বিহারও করতে পারবেন।
কীভাবে যাবেন?
টাকি রাজবাড়ির প্রাচীন শিল্পকলা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। সেই সঙ্গে এবার জুড়ে গেল পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও। শিয়ালদা স্টেশন থেকে মাত্র 72 কিলোমিটার দূরে টাকি রেল স্টেশনে নেমে কয়েক মিনিটের দূরত্বে মুঘল যুগের এই রাজবাড়ি রয়েছে। সড়কপথেও খুব সহজে সেখানে যাওয়া যায়।
রাজবাড়ির উত্তরসূরি থেকে পর্যকটরা কী বলছেন?
- এ বিষয়ে টাকির রাজ পরিবারের উত্তরসূরি শর্মিষ্ঠা ঘোষ বলেন, "প্রতিবছর শীতকালে রাজবাড়িতে পর্যটকরা আসেন। বছরের অন্য সময় অবশ্য সেই ভিড় থাকে না। চলতি বছর পর্যটকদের জন্য আমরা বেশকিছু ব্যবস্থা করেছি। এখানে বেড়াতে আসার পর থাকা-খাওয়ার সব রকম ব্যবস্থাই থাকছে। আগামী 25 ডিসেম্বর থেকে বিশেষ পর্যটন উৎসব শুরু হচ্ছে। তারপর থেকে সারা বছর এই রাজবাড়ি ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে সহজলভ্য করে দেওয়া হবে।"
- এ দিকে, চলতি শীতে নতুন রূপে টাকির রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার উদ্যোগে খুশি আমজনতা। এনিয়ে দেবযানী নস্কর নামে এক পর্যটক বলেন, "টাকির পুবের রাজবাড়ি হেরিটেজ স্বীকৃত। ফলে এর একটা সুনাম আগে থেকেই রয়েছে। সেই জায়গায় টাকির রাজবাড়ির স্থাপত্য যদি নতুন রূপে তুলে ধরা যায় জনসাধারণের সামনে, তার থেকে বড় আর কী হতে পারে!"