দেগঙ্গা, 13 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যে পৌরভোটের আবহেই দেগঙ্গায় বড়সড় ভাঙন সিপিএম এবং আইএসএফে । রবিবার এই দুই দল দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দুই রাজনৈতিক দলের প্রায় তিন শতাধিক কর্মী (ISF and CPM supporters join TMC) ৷ এদিন দেগঙ্গার কাউকেপাড়া তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে শাসকদলে যোগদান করেন তাঁরা । দলত্যাগীদের বেশিরভাগই এলাকায় সিপিএম নেতা-কর্মী বলে পরিচিত ।
এদিন শাসকদলে যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন, চাকলা পঞ্চায়েতের দু-বারের প্রাক্তন প্রধান এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ ওবাইদুল্লা ৷ এই দলবদল ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । বিরোধীদের অভিযোগ,জোর করে ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের শাসকদলে নাম লেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির ৷ এই দল বদলের ফলে দেগঙ্গায় সিপিএম এবং আইএসএফের সংগঠনে বড় ফাটল ধরল বলে দাবি শাসকদলের ৷
কিছুদিন আগেই অশোকনগরে শতাধিক সিপিএম ও বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর হাত ধরে । সেই দলবদলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই যোগদান ৷ শুধু অশোকনগর কিংবা দেগঙ্গা নয়, উত্তর 24 পরগণা জেলার প্রায় সর্বত্র ভাঙন শুরু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিতে । এদিনের যোগদান প্রসঙ্গে আইএসএফের দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি করিম আলি বলেন,"যাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছে তাঁরা কেউ আইএসএফ দলের সঙ্গে যুক্ত নন । আসলে নিজেদের দলের কর্মীদেরকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে আইএসএফের কর্মী বলে চালানোর চেষ্টা করছে । এছাড়া তো শাসকদলের কোনও কাজ নেই ।" বিজেপির দেগঙ্গার দেবালয় মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি চন্দন দাসের অভিযোগ,"রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে শাসকদল । সেই সন্ত্রাসের কাছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা মাথানত করতে বাধ্য হচ্ছেন । "।
আরও পড়ুন : "অর্জুন, শুভেন্দু আমার ছোট ভাই", মন্তব্য মদনের
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন,"আইএসএফের রাজনৈতিক জমি ক্রমশ আলগা হচ্ছে দেগঙ্গা থেকে । ওদের সব কর্মীরা দল ছেড়ে ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূলে । বিরোধী দলে ভাঙনের একটাই কারণ, সকলে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে । আগামীদিনে দেগঙ্গায় বিরোধী বলে কিছু থাকবে না ৷"