কলকাতা, 20 নভেম্বর: ধর্মতলার ডাফিন রোডের কাছে L-20 বাসস্ট্যান্ড । আর এবার সেটিও সরে যাচ্ছে অন্যত্র । সেনার অনুমতি পাওয়ার পরেই একেবারে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মতলা চত্বরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পার্পেল লাইনের কাজ । ধর্মতলার বিধান চন্দ্র রায় মার্কেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিন । মার্কেটটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিছুটা দূরেই কার্জন পার্কে ।
আর ঠিক একইভাবে মেট্রোর কাজের জন্য সরিয়ে দেওয়া হবে ধর্মতলার বাস টার্মিনাসের কিছুটা অংশ। জানা গিয়েছে L-20 বাসস্ট্য়ান্ডটি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । কাজ শেষ হলে আবারও আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে বাসস্ট্যান্ড। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের ঠিক বাইরেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসস্ট্যান্ডটি ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ এবং ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পার্পেল লাইনের নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএলের মধ্যে বৈঠক হয়েছে ৷ ধর্মতলার কোথায় কোথায় কাজ হবে সেই অংশগুলি চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ । বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য 800 বর্গমিটার জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে । টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে শৌচালয়, চালকের বিশ্রাম ঘর ও ফুড কোর্ট সব কিছু থাকবে এই নয়া স্ট্যান্ডে ।
নতুন বাস টার্মিনাস তৈরি করতে যাবতীয় খরচ বহন করবে মেট্রো। আগামী বছরের প্রথম দিকেই তৈরি হয়ে যাবে স্ট্যান্ড আর তারপর এখান থেকেই যতগুলি দূরপাল্লার সরকারি বাস ছাড়ে সেগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে । L-20 বাসস্ট্যান্ডটি যেহেতু সরকারি তাই এখান থেকে শুধুমাত্র দূরপাল্লার সরকারি বাসগুলো ছাড়ে । প্রতিদিন প্রায় 100 থেকে 120টি রুটে কমবেশি 400টিরও বেশি বাস ছাড়ে ।
অল প্রাইভেট স্টেট ক্যারিয়েজ লং-রুট বাস ওয়ার্কারস ইউনিয়নের সাহিল ওয়ার্সি জানান, ধর্মতলা টার্মিনাসে সরকারি দূরপাল্লার বাস ছাড়াও প্রায় হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি দূরপাল্লার বাস প্রতিদিন চলাচল করে। বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড এবং টিকিট কাউন্টারে কী হবে বা সেগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও কোথায় দেওয়া হতে পারে সেই বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। কারণ সবেমাত্র সরকারি বাসস্ট্যান্ডটি নিয়ে বৈঠক এবং পরিদর্শন শেষ হয়েছে । জানা গিয়েছে যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ, রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে। তখনই চূড়ান্ত হবে বেসরকারি বাস মালিকদের ভাগ্য ।