বারাসত, 25 ডিসেম্বর: আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে ৷ রোষের মুখে পড়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে উপ-প্রধানও ৷ তাই শনিবার গণ ইস্তফা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান-সহ তৃণমূলের 17 সদস্য ৷ তা নিয়ে এবার শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতে দলীয় উদ্যোগে এক ফুটবল টুর্নামেন্টর কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, "রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে এখন থরহরি কম্প শুরু হয়েছে শাসকদলে । তাই,উপায় না দেখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন ৷"
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে । সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে প্রকল্প নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি দুর্নীতি ও কারচুপির অভিযোগ । যা ঘিরে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছেন বঞ্চিত উপভোক্তাদের মধ্যে ।সেই প্রসঙ্গে এদিন বারাসাতের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে আবাস যোজনার প্রকল্প থেকে কাটমানি, দুর্নীতি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে । সেই কারণে তৃণমূলে এখন থরহরি কম্প শুরু হয়েছে । আরও অনেকেই লাইনে রয়েছেন পদত্যাগ করার জন্য । কেউ হয়তো নিজের উদ্যোগেই পদত্যাগ করবেন । নয়তো কাউকে ইস্তফা দিতে হবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়ে । সামনে আরও অনেককিছু দেখতে পাবেন । একসময় তৃণমূলে হিড়িক পড়ে যাবে পদত্যাগ করার জন্য । তৃণমূলের বড় চোরদের কাউকেই ছাড়া হবেনা । আমরা নিজেরাও লক্ষ্য রাখছি । কোথায়ও কোনও দুর্নীতি হলেই তাঁর তালিকা তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ।"
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: 'ডিসেম্বরে অনেক ধেড়ে ইঁদুর খাঁচার ভিতর ঢুকবে', শাসক দলকে কটাক্ষ সুকান্তর
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তা নিয়েও সরব হয়েছেন সুকান্ত ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, "রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু আচার্য । ছাত্র সংসদের ভোট করার দায়িত্ব তাঁর নয় ।এই দায়িত্ব একমাত্র রাজ্য সরকারের। কারণ, শিক্ষা দফতরের অধীনেই রয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় । তাঁরাই পরিচালনা করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে । তাই, রাজ্যপালের পরিবর্তে শিক্ষামন্ত্রীকে বিক্ষোভ দেখানো উচিত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ।"