দেগঙ্গা, 19 সেপ্টেম্বর : দশদিনের মাথায় দেগঙ্গার নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ । সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে ।
ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল দেগঙ্গা গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন । পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ঘনঘন ডেরা পরিবর্তন করছিল সে । এর আগে এক নাবালক-সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর এবার পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত । শনিবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।
প্রসঙ্গত, গত 8 সেপ্টেম্বর দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের হাটখোলা এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় 15 বছরের এক নাবালিকা ৷ ঘটনার পর নাবালিকা এই দুষ্কর্মের কথা বাড়িতে জানানোর পর পুলিশে অভিযোগ জানায় তার পরিবার ৷ সেদিন রাতেই অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ৷ এরপরই অভিযুক্ত রাইহান সরদার-সহ এক নাবালককে গ্রেফতার করলেও ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন মণ্ডল ফেরার ছিল ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন নির্যাতিতা নাবালিকার পূর্ব পরিচিত ছিল । মুস্তাকিনই যে আরও তাঁর দুই সঙ্গীকে নিয়ে এরকম দুষ্কর্মের ঘটনা ঘটাবে, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ওই নাবালিকা । মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে এলাকায় । সেই সমস্ত অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে কলকাতায় পালিয়ে যায় মুস্তাকিন । সেখানে কিছুদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর বেলিয়াঘাটার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে । সূত্র মারফত সেই খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল হানা দিয়ে মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন : Deganga Gangrape : আটদিনের মাথায় ফের নাবালিকাকে গণধর্ষণ দেগঙ্গায়