নিউটাউন, 10 জুলাই: রাজ্যে 'পলিটিক্যাল পলিউশন' চলছে ৷ তার থেকে রাজ্যবাসী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, সবাই মুক্তি চাইছেন । তাই হয়তো রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন । শাসকদল তৃণমূলকে এভাবেই সোমবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ । ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবার একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি ।
তাঁর দাবি, এই রাজ্যে পলিটিক্যাল পলিউশন বা রাজনৈতিক দূষণ চলছে । তার থেকে রাজ্যের মানুষও মুক্তি চাইছেন । রাজ্যপালও মুক্তি চাইছেন । তাই রাজ্যপাল দিল্লি চলে গেলেন ৷ কিন্তু রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে? অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, 356 ধারা জারি করা এত সোজা না । তবে কি রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রার সঙ্গে 356 বা 355-এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে? উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান, আসলে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে । রাজ্যের পরিস্থিতি ওদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে । রাজ্যের মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করছে । মুক্তি চাইছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কী হয়েছে তা সবাই সেদিন দেখেছে । এরপর এই সরকারের থাকার কোনও প্রয়োজন নেই । কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় এসেছে বলে সেভাবেই বিদায় দেওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই শাহী-সাক্ষাতে দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করা নিয়ে আশাবাদী এই বিজেপি নেতা । তিনি বলেন, "আমাদের কোর এলাকায় আমরা ভোট করিয়েছি । যেখানে গোলমাল ছিল, সেখানে আমরা আগে থেকেই প্রার্থী দিতে পারিনি । এমনও হয়েছে, প্রার্থী হতে কেউ রাজি হয়েছে, কিন্তু নামের প্রস্তাবক পাওয়া যায়নি । সবমিলিয়ে ভয়ের পরিবেশ ছিল । আরও এরকম 20 শতাংশ মতো জায়গা আছে, যেখানে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম কিন্তু ভোট করানো যায়নি । ভোটাররাও বাড়ি থেকে বেরোননি । এজেন্টরা বসতে পারেননি । বুধ দখল হয়ে গিয়েছিল । তবে জেলা পরিষদ আসন পাব । অবশ্যই পাব । উত্তর দক্ষিণ দুই বঙ্গ থেকেই আসন পাব । কটা আসন পাব তা এখন বলা মুশকিল ।"
আরও পড়ুন: জমি থেকে মিলল নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর দেহ, ধুবুলিয়ায় বিক্ষোভ
এবারে বিরোধীদের পাশাপাশি ভোটের সন্ত্রাসের জেরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের প্রাণ গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যারা মারা গিয়েছে তারা তৃণমূলের লোক নয় । ওরা সমাজবিরোধী, গুন্ডা ৷ ওদের দিয়েই তৃণমূল ভোট করায় । এবার পারেনি । সাধারণ মানুষ এবার তৈরি ছিল । সাধারণ মানুষ পিটিয়েছে। ফলে কোনও কোনও গুন্ডার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, "তৃণমূলের লোক মানে গুন্ডা । পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে কেউ নেই । পুলিশ চেষ্টা করছে এখনও । পুলিশ রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছে । আর বুথের ভিতরে তৃণমূল দাঁড়িয়ে আছে । মিডিয়াকে পর্যন্ত ঢুকতে দিচ্ছে না । পুলিশ প্রকাশ্যে বলছে, অন্য কেউ ভোট করবে না । শুধু তৃণমূল ভোট করবে । তাই যেখানে মানুষ পেরেছে, গুন্ডাদের রুখে দিয়েছে ।"