বারাসত, 31 মার্চ : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে জমায়েতের উপর । বন্ধ রয়েছে রক্তদান শিবির । এই পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ও হাসপাতালগুলিতে । তাই,রক্তের আকাল মেটাতে এবার উদ্যোগী হল বারাসত জেলা পুলিশ । আজ দুপুরে মধ্যমগ্রাম দোলতলা পুলিশ লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় জেলা পুলিশের তরফে । সহযোগিতায় ছিলেন "জীবন ছাত্র সংগঠন" নামে বারাসতের এক সামাজিক সংগঠন ।
শিবিরে রক্ত দিতে আসা পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উদ্বুদ্ধ করতে সবার প্রথমে রক্তদান করেন বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় । এরপর একে একে রক্ত দেন জেলার দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূুপান্তর সেনগুপ্ত,বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, DSP (হেড কোয়ার্টার) অলোক অধিকারী সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা । পুলিশের পাশাপাশি রক্ত দেন সাধারণ মানুষও ।
সাধারণত , গ্রীষ্মকালীন সময়ে রক্ত সংকট হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । তার উপর লকডাউনের জেরে রক্তের আকাল দেখা দিতে শুরু করেছে । এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ফাঁপরে পড়েছেন রক্তাল্পতা,থ্যালাসেমিয়া ও মারণ রোগে আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা । রক্ত দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই দাতাদের । কেননা,কোরোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে । এদিকে,লকডাউনের জেরে জেলার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ও হাসপাতালে গুলিতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে । এর ফলে,চাহিদা থাকলেও তার আকাল মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না । এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসল বারাসত জেলা পুলিশ ।
গতকাল কোরোনা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করতে গিয়ে জেলার পুলিশ প্রশাসনকে রক্তদান শিবির করার আদেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর নির্দেশ মেনেই আজকে রক্তের ঘাটতি মেটাতে শিবিরের আয়োজন করল জেলা পুলিশ । আগামীদিনে যা অন্যান্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"লকডাউনের জেরে কিছু জায়গায় রক্তের সংকট তৈরি হয়েছিল । তাই, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সেই সংকট মেটাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলাম । প্রাথমিকভাবে 50 জনের মতো রক্তদান করলেও এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে চলবে"। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই কর্মকাণ্ড করা হয়েছিল বলেও জানান পুলিশ সুপার।