বারাসত, 17 সেপ্টেম্বর : রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন শুনবে বারাসত জেলা আদালত ৷ দুপুর 2টোয় হবে শুনানি ৷ তবে এর আগে তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেয় বারাসতের বিশেষ আদালত ৷ বিচারক সঞ্জীব দারুকা জানিয়ে দেন, তাঁরা এই আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না ৷ কারণ এই আবেদন শোনার এক্তিয়ার তাঁদের নেই ৷
রাজীব কুমারের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী দেবাশিস রায়, গোপাল হালদার, রতন ঝাঁ ও গৌরীশঙ্কর বল ৷ আজ বারাসত বিশেষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেন রাজীবের আইনজীবী গৌরীশঙ্কর বল ৷ কিন্তু বিচারক সঞ্জীব দারুকা জানিয়ে দেন, তাঁরা এই আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না ৷ কারণ এই আবেদন শোনার এক্তিয়ার তাদের নেই ৷ এরপর রাজীবকুমারের আইনজীবীরা জেলা জাজ শব্বর রশিদির এজলাসে আবেদন করেন । বেলা ১২ টা নাগাদ মামলা শোনেন জেলা জাজ । রাজীবের আইনজীবীরা আগাম জামিন চান । তখন CBI-র আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন । CBI-র আইনজীবী বিশেষ আদালতে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট চেয়েছিলেন । সেকথা জানার পর জেলা জাজ জানান, ওই নথি না দেখে কিছু রায় দেওয়া যাবে না ৷ সেই মতো আদালতের দ্বিতীয়ার্ধেই হবে শুনানি ।
আগাম জামিনের শুনানি শেষ। CBI এবং রাজীব কুমারের আইনজীবীর মধ্যে বিচার কক্ষের ভিতর তুমুল বাকবিতণ্ডা, বাধ্য হয়ে কক্ষ ছাড়লেন বিচারক সঞ্জীব দারুকা।
গতকাল সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ নবান্নে যান CBI অফিসাররা । রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন তাঁরা ৷ রবিবার ছুটি থাকায় মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে লেখা CBI-র চিঠি গ্রহণ করেনি নবান্ন ৷
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : নবান্নে CBI অফিসাররা, চিঠি মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে
CBI আধিকারিকরা রবিবার বিকেল সাড়ে 5টায় চারটি চিঠি নিয়ে নবান্নে যান । এর মধ্যে দুটি রাজ্য পুলিশের DG-র জন্য । অন্য দুটি মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের জন্য । ছুটির দিন বলে নবান্নের তরফে চিঠিগুলি নিতে অস্বীকার করা হয় । পরে বিষয়টি জরুরি বলে আবেদন করায় DG-র চিঠিগুলি গ্রহণ করা হয় ৷ DG-কে লেখা দুটি চিঠির মধ্যে একটিতে রাজীব কুমারকে গতকাল দুটোর মধ্যে CGO কমপ্লেক্সে হাজির করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর ।