ঢাকা ও দিল্লি 23 ডিসেম্বর: শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। ভারত সরকারের কাছে একটি কূটনেতিক নোট পাঠিয়েছে অন্তর্বতী সরকার। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে সোমবার বিকেলে এই খবর জানা গিয়েছে।
অগস্ট মাসের 5 তারিখ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পৌঁছন হাসিনা। প্রবল জনরোষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা । সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এর মধ্যে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল একটি মামলায় হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি হাসিনাদের ট্রাইবুনালের সামনে হাজির করাতে বলে। এরপর বাংলাদেশের তরফে ভারতের কাছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ গেল ।
বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান এদিন নিজের দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত চেয়ে ভারতে আমরা একটি কূটনেতিক নোট পাঠিয়েছি। " এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলাম জানান, তাঁর দফতর থেকে পররাষ্ট্র দফতরে একটি নোট পাঠানো হয়েছে । শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথাই রয়েছে ওই নোটে । তিনি আরও জানান, আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে । সেই ভিত্তিতেই এই নোট পাঠানো হয়েছে ।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছিলেন এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন । সরকারের বয়স 100 উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইউনুস । সেখানে তিনি বলেন, "অপরাধের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ তাদের রেহাই নেই। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলব।" এরপর এদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হল ।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত সরকার তরফে বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে গিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও একই কথা বলেছেন। পাশাপাশি সদ্য শেষ হওয়া সংসদের অধিবেশনে এক সাংসদের করা প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদেশ মন্ত্রক জানায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি সংখ্যক হিন্দু অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। এমনই উত্তেজক আবহে হাসিনাকে ফেরত চাইল বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত কী করে সেটাই এখন দেখার।