ETV Bharat / state

বারাসতে প্রতিবাদী আইনজীবীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা - TMC

প্রতিবাদী এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনার বারাসতে ৷ অভিযুক্ত, বারাসত পুরসভায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক ও তাঁর অনুগামীরা ৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অন্য আইনজীবীরা ৷ যদিও আইনজীবীকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন অরুণ ভৌমিক ।

বারাসতে প্রতিবাদী আইনজীবীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
বারাসতে প্রতিবাদী আইনজীবীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
author img

By

Published : Mar 11, 2021, 4:17 PM IST

বারাসত, 11 মার্চ : প্রতিবাদী এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনার বারাসতে ৷ অভিযোগ, সৈকত দাস নামে ওই আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছে বারাসত পুরসভায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক ও তাঁর অনুগামীরা ৷ উঠেছে গালিগালাজ ও রিভলবার ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও । শাসকদলের বিদায়ী কাউন্সিলরের এই দাদাগিরির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আক্রান্তের সহকর্মী আইনজীবীরা । তাঁর গ্রেপ্তারের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা । যদিও আইনজীবীকে মারধরের কথা অস্বীকার করে পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ তুলেছেন অরুণ ভৌমিক । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

বারাসতের মাঙ্গোলিয়া এলাকায় বাড়ি সৈকত দাস নামে ওই আইনজীবীর । তিনি বারাসত আদালতে প্র্যাকটিস করেন ৷ প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও তিনি তাঁর চেম্বার থেকে ফিরছিলেন বাড়ির দিকে ।তখনই পুরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের ডিপটিউওয়েল মোড়ে তিনি লক্ষ্য করেন এক যুবককে মারধর করছে অনেকে । সেখানে হাজির ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ও পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অরুণ ভৌমিক ।

অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই মারধর করা হচ্ছিল ওই যুবককে । ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই আইনজীবী । বলেন, "মারধর না করে সে যদি অন্যায় করে থাকে তবে, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক ।’’ এই কথা শুনে আরও রেগে যান তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর । উল্টে আইনজীবীর উপরই তিনি হম্বিতম্বি করতে থাকেন বলে অভিযোগ । এর পর ওই আইনজীবীকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ।

এমনকী, মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে । কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই আইনজীবী । ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায় । ঘটনার পরই আক্রান্ত আইনজীবীর পাশে দাঁড়িয়ে এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁর সহকর্মীরা । ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের এই নেতার দাদাগিরির বিরুদ্ধেও ।

এদিকে, ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে বারাসত আদালতের আইনজীবীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন । অভিযুক্ত তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় বারাসত থানায় । সৈকত দাস বলেন, "আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে । আমি চাই মারধরের ঘটনায় জড়িত তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ প্রশাসন । না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে । ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছি ৷"

যদিও আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও ওই যুবককে মারধরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অরুণ ভৌমিক । তিনি বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার দুই অটো চালক এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিল । তা নিয়ে ওই মহিলা অভিযোগ জানান আমার কাছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমার কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের । এর মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করেন মহিলা ।কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নয়, বাবার মতো ওই অটো চালককে দুটো চড় মারি ৷"

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত চেয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের

তাঁর কথায়, "অটো চালককে সমর্থন করেছিলেন ওই আইনজীবী । তখনই মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হয় । আমি তাঁদের সরিয়ে ওই আইনজীবীকে রক্ষা করি । সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল । সেই কথা পুলিশকে ফোন করেও জানিয়েছি । নিজের দোষ ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে সে ৷" অন্যদিকে বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার তদন্ত চলছে ।

বারাসত, 11 মার্চ : প্রতিবাদী এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনার বারাসতে ৷ অভিযোগ, সৈকত দাস নামে ওই আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছে বারাসত পুরসভায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক ও তাঁর অনুগামীরা ৷ উঠেছে গালিগালাজ ও রিভলবার ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও । শাসকদলের বিদায়ী কাউন্সিলরের এই দাদাগিরির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আক্রান্তের সহকর্মী আইনজীবীরা । তাঁর গ্রেপ্তারের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা । যদিও আইনজীবীকে মারধরের কথা অস্বীকার করে পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ তুলেছেন অরুণ ভৌমিক । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

বারাসতের মাঙ্গোলিয়া এলাকায় বাড়ি সৈকত দাস নামে ওই আইনজীবীর । তিনি বারাসত আদালতে প্র্যাকটিস করেন ৷ প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও তিনি তাঁর চেম্বার থেকে ফিরছিলেন বাড়ির দিকে ।তখনই পুরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের ডিপটিউওয়েল মোড়ে তিনি লক্ষ্য করেন এক যুবককে মারধর করছে অনেকে । সেখানে হাজির ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ও পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অরুণ ভৌমিক ।

অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই মারধর করা হচ্ছিল ওই যুবককে । ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই আইনজীবী । বলেন, "মারধর না করে সে যদি অন্যায় করে থাকে তবে, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক ।’’ এই কথা শুনে আরও রেগে যান তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর । উল্টে আইনজীবীর উপরই তিনি হম্বিতম্বি করতে থাকেন বলে অভিযোগ । এর পর ওই আইনজীবীকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ।

এমনকী, মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে । কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই আইনজীবী । ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায় । ঘটনার পরই আক্রান্ত আইনজীবীর পাশে দাঁড়িয়ে এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁর সহকর্মীরা । ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের এই নেতার দাদাগিরির বিরুদ্ধেও ।

এদিকে, ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে বারাসত আদালতের আইনজীবীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন । অভিযুক্ত তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় বারাসত থানায় । সৈকত দাস বলেন, "আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে । আমি চাই মারধরের ঘটনায় জড়িত তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ প্রশাসন । না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে । ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছি ৷"

যদিও আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও ওই যুবককে মারধরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অরুণ ভৌমিক । তিনি বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার দুই অটো চালক এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিল । তা নিয়ে ওই মহিলা অভিযোগ জানান আমার কাছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমার কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের । এর মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করেন মহিলা ।কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নয়, বাবার মতো ওই অটো চালককে দুটো চড় মারি ৷"

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত চেয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের

তাঁর কথায়, "অটো চালককে সমর্থন করেছিলেন ওই আইনজীবী । তখনই মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হয় । আমি তাঁদের সরিয়ে ওই আইনজীবীকে রক্ষা করি । সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল । সেই কথা পুলিশকে ফোন করেও জানিয়েছি । নিজের দোষ ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে সে ৷" অন্যদিকে বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার তদন্ত চলছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.