বংশীহারী, 11 নভেম্বর : বিয়ের আর বাকি ছিল মাত্র 15 দিন। তার আগেই যুবতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতার নাম নন্দিতা রায়(21)। বংশীহারী থানার গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশের অনুমান গতকাল রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবতি। দেহের পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট। মৃত্যুর কারণ হিসাবে সুইসাইড নোটে হবু স্বামী বাবু দাস এবং তাঁর পরিবারকেই দায়ি করেছেন নন্দিতা ।ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে সোশাল মিডিয়ায় মাধ্যমে গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাবু দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় নন্দিতার । বাবু দাস কলকাতা পুলিশে কর্মরত । সোশাল মিডিয়া থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। তারপর উভয়ের বাড়ির অনুমতিতে বিয়ের দিন ঠিক হয় 9 অগ্রহায়ণ। অভিযোগ বিয়ের ঠিক 15 দিন আগে পাত্র পক্ষ মোটর বাইকের দাবি জানায়। কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল মেয়ের পরিবার সেই চাহিদা মেটাতে না পারার কথা জানানোয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরিবারকে সামাজিক বদনামের থেকে মুক্তি দিতেই মেয়ের এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে নন্দিতার বাড়ির লোকজন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে হবু স্বামী বাবু দাসকে ভিডিয়ো কল করে আত্মহত্যা করেন নন্দিতা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি বংশীহারী থানায় জানানো হলে গতকাল রাতেই বংশীহারী থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ছেলের পরিবারকে দায়ি করেছে নন্দিতার বাবা কালীপদ রায়। পাশাপাশি দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কালীপদবাবু বলেন, "এক বছর আগে আমার মেয়ের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয় বাবু দাসের সঙ্গে। মেয়ের বিয়ের জন্য বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জের আত্মীয়দের নিমন্ত্রণও করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু 15 দিন আগে পাত্র মোটর বাইকের দাবি করে । পারিবারিক অবস্থা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছিলাম দাবি পূরণ করার। কিন্তু গতকাল রাতে আত্মহত্যা করে আমার মেয়ে।" মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়িদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।