ETV Bharat / state

ফিরল মহাজনদের কাছে বন্ধক থাকা রেশন কার্ড, ঝালদার দুস্থ পরিবারগুলির পাশে BDO

সুদ কারবারিদের কাছে বন্ধক ছিল রেশন কার্ডগুলি ।সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশন তুলতে পারছিলেন না পুরুলিয়ার ঝালদার সরজুমাতুর গ্রামের কয়েকটি দুস্থ পরিবার । সুদ কারবারিদের কাছ থেকে কার্ডগুলি উপভোক্তাদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন BDO ।

aa
পুরুলিয়া
author img

By

Published : Apr 9, 2020, 3:25 PM IST

পুরুলিয়া, 9 এপ্রিল: রেশন কার্ড বন্ধক থাকায় অনেক দিন ধরেই রাজ্য সরকারের নিঃশুল্ক রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার সরজুমাতু গ্রামের বেশ কয়েকটি দুস্থ পরিবার । লকডাউনের এই মুহূর্তে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনও পাচ্ছিলেন না তাঁরা । অনাহারেই দিন কাটছিল ওই দুস্থ পরিবারগুলির । খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন । স্থানীয় BDO পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গিয়ে সুদ কারবারিদের কাছ থেকে রেশনকার্ডগুলি উদ্ধার করে উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন ।

জানা গেছে, সরজুমাতু গ্রামে বেশ কয়েকটি দুস্থ, দিন আনা দিন খাওয়া কালিন্দী পরিবারের বাস । তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার কাজের তাগিদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন । যাওয়ার সময় রেশন কার্ডগুলি গ্রামের সুদ কারবারিদের কাছে কিছু টাকার বিনিময়ে বন্ধক দিয়ে দেন । আবার কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউ আবার অসুস্থ হলে কিছু টাকার প্রয়োজনে রেশন কার্ডগুলি বন্ধক দিয়ে দেন সুদ কারবারিদের কাছে । সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় কার্ডও ফেরত পান না তাঁরা । ফলে তাঁদের সেই কার্ড দিয়েই গ্রামের ওই মহাজনরা বছর বছর ধরে রেশন তুলতেন । এদিকে বর্তমানে লকডাউনের প্রভাবে বন্ধ কাজ । তাই বিভিন্ন রাজ্যে কাজের জন্য যাওয়া ব্যক্তিরা ফিরে এসেছেন বাড়িতে । বর্তমানে একই কারণে জেলাতেও কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা । অভাবই নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছিল । কোনওরকমে আধপেটা খেয়েই দিন যাপন করছিল ওই পরিবারগুলি । রেশন কার্ড না থাকায় বর্তমানে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশন সামগ্রী থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলেন । এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় ওইসব দুস্থ পরিবারগুলি । এরপরেই মহাজনদের থেকে কার্ডগুলি ফেরত নিয়ে তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেন BDO ।

ইন্দ্রা কালিন্দী, রাধা কালিন্দী, নিতাই কালিন্দীরা জানান, "মেয়ের বিয়ের জন্য, চিকিৎসার জন্য, অভাবের কারণে রেশন কার্ডগুলো 10 হাজার, 7 হাজার, 18 হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রামের সুদ কারবারিদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম । তারপর আর টাকা শোধ দিতে পারিনি । মহাজনরাই আমাদের সমস্ত রেশন সামগ্রী তুলে নিতেন । এখন লকডাউনে আমাদের সমস্ত কাজও বন্ধ । খুবই অভাব দেখা দিয়েছে । এখন সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনও তুলতে পারছিলাম না কার্ড না থাকার কারণে । তাই BDO-র কাছে আবেদন করি, এই বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।"

রেশন ডিলার অমরেশ মাহাত জানান, "যাঁরা রেশন কার্ড নিয়ে আসেন তাঁদের হাতেই রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । তাছাড়া কালিন্দী পরিবারগুলিও বলে গিয়েছিল ওই সুদ কারবারিদের হাতে রেশন তুলে দেওয়ার জন্য ।" এই বিষয়ে জেলা শাসক রাহুল মজুমদার জানান, "এই বিষয়ে আমাদের কাছে খবর আসতেই BDO-কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । BDO গ্রামে গিয়ে সুদ কারবারিদের কাছ থেকে রেশন কার্ডগুলি সংগ্রহ করেন । এরপর সেগুলি উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে দু'পক্ষকেই মুচলেকা দিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের আইন বহির্ভূত কাজ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । "

পুরুলিয়া, 9 এপ্রিল: রেশন কার্ড বন্ধক থাকায় অনেক দিন ধরেই রাজ্য সরকারের নিঃশুল্ক রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার সরজুমাতু গ্রামের বেশ কয়েকটি দুস্থ পরিবার । লকডাউনের এই মুহূর্তে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনও পাচ্ছিলেন না তাঁরা । অনাহারেই দিন কাটছিল ওই দুস্থ পরিবারগুলির । খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন । স্থানীয় BDO পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গিয়ে সুদ কারবারিদের কাছ থেকে রেশনকার্ডগুলি উদ্ধার করে উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন ।

জানা গেছে, সরজুমাতু গ্রামে বেশ কয়েকটি দুস্থ, দিন আনা দিন খাওয়া কালিন্দী পরিবারের বাস । তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার কাজের তাগিদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন । যাওয়ার সময় রেশন কার্ডগুলি গ্রামের সুদ কারবারিদের কাছে কিছু টাকার বিনিময়ে বন্ধক দিয়ে দেন । আবার কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউ আবার অসুস্থ হলে কিছু টাকার প্রয়োজনে রেশন কার্ডগুলি বন্ধক দিয়ে দেন সুদ কারবারিদের কাছে । সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় কার্ডও ফেরত পান না তাঁরা । ফলে তাঁদের সেই কার্ড দিয়েই গ্রামের ওই মহাজনরা বছর বছর ধরে রেশন তুলতেন । এদিকে বর্তমানে লকডাউনের প্রভাবে বন্ধ কাজ । তাই বিভিন্ন রাজ্যে কাজের জন্য যাওয়া ব্যক্তিরা ফিরে এসেছেন বাড়িতে । বর্তমানে একই কারণে জেলাতেও কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা । অভাবই নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছিল । কোনওরকমে আধপেটা খেয়েই দিন যাপন করছিল ওই পরিবারগুলি । রেশন কার্ড না থাকায় বর্তমানে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশন সামগ্রী থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলেন । এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় ওইসব দুস্থ পরিবারগুলি । এরপরেই মহাজনদের থেকে কার্ডগুলি ফেরত নিয়ে তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেন BDO ।

ইন্দ্রা কালিন্দী, রাধা কালিন্দী, নিতাই কালিন্দীরা জানান, "মেয়ের বিয়ের জন্য, চিকিৎসার জন্য, অভাবের কারণে রেশন কার্ডগুলো 10 হাজার, 7 হাজার, 18 হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রামের সুদ কারবারিদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম । তারপর আর টাকা শোধ দিতে পারিনি । মহাজনরাই আমাদের সমস্ত রেশন সামগ্রী তুলে নিতেন । এখন লকডাউনে আমাদের সমস্ত কাজও বন্ধ । খুবই অভাব দেখা দিয়েছে । এখন সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনও তুলতে পারছিলাম না কার্ড না থাকার কারণে । তাই BDO-র কাছে আবেদন করি, এই বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।"

রেশন ডিলার অমরেশ মাহাত জানান, "যাঁরা রেশন কার্ড নিয়ে আসেন তাঁদের হাতেই রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । তাছাড়া কালিন্দী পরিবারগুলিও বলে গিয়েছিল ওই সুদ কারবারিদের হাতে রেশন তুলে দেওয়ার জন্য ।" এই বিষয়ে জেলা শাসক রাহুল মজুমদার জানান, "এই বিষয়ে আমাদের কাছে খবর আসতেই BDO-কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । BDO গ্রামে গিয়ে সুদ কারবারিদের কাছ থেকে রেশন কার্ডগুলি সংগ্রহ করেন । এরপর সেগুলি উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে দু'পক্ষকেই মুচলেকা দিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের আইন বহির্ভূত কাজ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । "

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.