ETV Bharat / state

অভিযুক্ত কাকা, জেঠু HIV নেগেটিভ ; ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

author img

By

Published : Apr 28, 2019, 1:01 PM IST

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের । মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার । জানা গেছে, AIDS-এ আক্রান্ত ছিল সে । ঘটনায় কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি ।

ছবিটি প্রতীকী

কলকাতা ও হলদিয়া, 28 এপ্রিল : নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের । মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার । জানা গেছে, AIDS-এ আক্রান্ত ছিল সে । ঘটনায় কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি । কারণ রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে তাদের HIV নেগেটিভ এসেছে । গতকাল একথা জানান হলদিয়া মহিলা থানার OC মৌসুমি সরদার । তিনি বলেন, "আমরা রিপোর্ট হাতে পেয়ে জানতে পারি দু'জনেরই রিপোর্ট HIV নেগেটিভ । অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার কারণেই তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি ।" পুলিশ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, পারিবারিক সম্পত্তিগত বিবাদ অথবা কোনও শত্রুতার কারণেও মৃতের বাবা এই অভিযোগ করে থাকতে পারেন । সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নাবালিকা বারবার বলেছিল, কাকা, জেঠু আর ঠাকুমা আমাকে বাঁচতে দিল না । তলপেটে যখন অসহ্য যন্ত্রণা, বাবা মা-র কাছে একদম শেষে সে জানায় তার উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের কথা । HIV পজ়িটিভও আসে তার ব্লাড রিপোর্টে । পেশায় গাড়ি চালক বাবা HIV, AIDS সম্পর্কে সেভাবে কিছুই জানতেন না । হাসপাতালের তরফ থেকেই তাঁকে সেসব বোঝানো হয় । কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ । মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা । প্রথমে তমলুক, পরে NRS ও তারপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ । চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টাও বাঁচানো যায়নি তাকে । তার বাবা নিজের ভাই, দাদা ও মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ । তাদের রক্তে মেলেনি HIV ভাইরাসও ।

১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল । সেখানকার মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, মৃতা‌ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল । সংক্রমণও ছড়িয়ে‌ পড়েছিল । তার বাবা জানান, হঠাৎ ঠান্ডা লেগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাঁর ১০ বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা তারা । অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখানে রক্ত পরীক্ষায় তার শরীরে HIV পজ়িটিভ-এর খোঁজ মেলে । তারপর তিনি জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে একাধিকবার ধর্ষিতা হয়েছে এবং HIV পজ়িটিভ রয়েছে । তাঁর মেয়েও পরে জানায়, কাকা এবং জেঠু ধর্ষণের জন্য দায়ি । তারপর পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে । সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন, মিষ্টি খাওয়ার পর তার জ্ঞান থাকত না । অভিযোগে তার বাবাও জানান, তিনি অনেকবার দেখেছেন মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর দাদা বাড়িতে ছেড়ে যাচ্ছেন ।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয় ওই নাবালিকা । ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফেরে । এরপর ফের ১৩ এপ্রিল অসুস্থ হওয়ায় তমলুক হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে NRS মেডিকেল কলেজে স্থানাস্তরিত করা হয় । সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । ১৬ এপ্রিল থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল সে । ১৯ এপ্রিল পুরো বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর মেয়ের শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল । যখন তখন চরম কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । এই অবস্থায়, দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির চাই । মঙ্গলবার সেখানেই তার মৃত্যু হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে । প্রমাণ না মেলায় আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্তদের ।

কলকাতা ও হলদিয়া, 28 এপ্রিল : নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের । মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার । জানা গেছে, AIDS-এ আক্রান্ত ছিল সে । ঘটনায় কাকা ও জেঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি । কারণ রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে তাদের HIV নেগেটিভ এসেছে । গতকাল একথা জানান হলদিয়া মহিলা থানার OC মৌসুমি সরদার । তিনি বলেন, "আমরা রিপোর্ট হাতে পেয়ে জানতে পারি দু'জনেরই রিপোর্ট HIV নেগেটিভ । অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার কারণেই তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি ।" পুলিশ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, পারিবারিক সম্পত্তিগত বিবাদ অথবা কোনও শত্রুতার কারণেও মৃতের বাবা এই অভিযোগ করে থাকতে পারেন । সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নাবালিকা বারবার বলেছিল, কাকা, জেঠু আর ঠাকুমা আমাকে বাঁচতে দিল না । তলপেটে যখন অসহ্য যন্ত্রণা, বাবা মা-র কাছে একদম শেষে সে জানায় তার উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের কথা । HIV পজ়িটিভও আসে তার ব্লাড রিপোর্টে । পেশায় গাড়ি চালক বাবা HIV, AIDS সম্পর্কে সেভাবে কিছুই জানতেন না । হাসপাতালের তরফ থেকেই তাঁকে সেসব বোঝানো হয় । কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ । মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা । প্রথমে তমলুক, পরে NRS ও তারপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ । চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টাও বাঁচানো যায়নি তাকে । তার বাবা নিজের ভাই, দাদা ও মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ । তাদের রক্তে মেলেনি HIV ভাইরাসও ।

১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল । সেখানকার মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, মৃতা‌ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল । সংক্রমণও ছড়িয়ে‌ পড়েছিল । তার বাবা জানান, হঠাৎ ঠান্ডা লেগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাঁর ১০ বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা তারা । অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখানে রক্ত পরীক্ষায় তার শরীরে HIV পজ়িটিভ-এর খোঁজ মেলে । তারপর তিনি জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে একাধিকবার ধর্ষিতা হয়েছে এবং HIV পজ়িটিভ রয়েছে । তাঁর মেয়েও পরে জানায়, কাকা এবং জেঠু ধর্ষণের জন্য দায়ি । তারপর পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে । সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন, মিষ্টি খাওয়ার পর তার জ্ঞান থাকত না । অভিযোগে তার বাবাও জানান, তিনি অনেকবার দেখেছেন মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর দাদা বাড়িতে ছেড়ে যাচ্ছেন ।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয় ওই নাবালিকা । ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফেরে । এরপর ফের ১৩ এপ্রিল অসুস্থ হওয়ায় তমলুক হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে NRS মেডিকেল কলেজে স্থানাস্তরিত করা হয় । সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । ১৬ এপ্রিল থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল সে । ১৯ এপ্রিল পুরো বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর মেয়ের শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল । যখন তখন চরম কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । এই অবস্থায়, দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির চাই । মঙ্গলবার সেখানেই তার মৃত্যু হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে । প্রমাণ না মেলায় আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্তদের ।

Intro:কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে কাকা এবং জ্যাঠার কাছে নিয়ে যেত ঠাকুমা। অভিযোগ, কাকা এবং জ্যাঠা এই শিশুকন্যাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। যার জেরে, এই শিশুকন্যা HIV পজিটিভ-এ আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পুলিশে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন এই শিশুর বাবা।
Body:এই শিশুকন্যা এখন আর বেঁচে নেই। গত ১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। এই হাসপাতালে গত মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল এই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস।‌ মৃত এই শিশু‌ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল।সংক্রমণ ছড়িয়ে‌ পড়েছিল।

গত ১৯ এপ্রিল পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তার বাবা। ওই অভিযোগে তিনি এমনই জানিয়েছেন যে, হঠাৎ ঠান্ডা লেগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাঁর ১০ বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কলকাতার বাইরে রাজ্যের একটি জেলার বাসিন্দা তাঁরা। এই অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় এই তার শরীরে HIV পজিটিভ-এর খোঁজ মেলে। ওই অভিযোগে এই শিশুর বাবা এমনই জানিয়েছেন, রক্ত পরীক্ষায় তিনি জানতে পারেন তাঁর মেয়ে একাধিক বার ধর্ষিত হয়েছে এবং HIV পজিটিভ রয়েছে। তাঁর মেয়ে তাঁকে জানিয়েছে, তার কাকা এবং জ্যাঠা ধর্ষণের জন্য দায়ী। তার ঠাকুমা মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে, তাকে তার কাকা এবং জ্যাঠার কাছে পৌঁছে দিত। মিষ্টি খাওয়ানোর পর শিশুকন্যার আর জ্ঞান থাকত না বলেও ওই অভিযোগে জানানো হয়েছে। এই শিশুকন্যার বাবা সেখানে জানিয়েছেন, তিনি অনেক সময় দেখেছেন ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মেয়েকে, তাঁর দাদা বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
Conclusion:গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ওই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরে শিশুকন্যা। এর পরে গত ১৩ এপ্রিল আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তখন স্থানীয় অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। যার জেরে তাকে রেফার করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই অভিযোগে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে তাঁর মেয়েকে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। গত ১৬ এপ্রিল এই হাসপাতালে তাঁর মেয়েকে ভর্তি নেওয়া হয়। আর গত ১৯ এপ্রিল ওই অভিযোগে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর মেয়ের শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল। যখন তখন চরম কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই অবস্থায়, দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির জন্য যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, ওই অভিযোগে তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

_______

WRAP-এ ডকুমেন্টের ছবি:

wb_kol_27 april rape aids death pic 1_7203421

ডকুমেন্টের ছবি পাবলিশড-এর জন্য নয়।

________
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.